এস.ইসলাম : [২] ২০১৮ সাল থেকেই কৃষকের কাছে ফিরতে শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ৯ শতাংশ সুদে কৃষকদের মাঝে ঋণসুবিধা দেয়ায় ব্যাংকটিতে ঋণ গ্রাহীতার সংখ্যা বেড়ে যায়। চাহিদার কারণে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জন্য দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে কৃষি ব্যাংক। এরই মধ্যে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। স্বল্প সুদের এই ঋণ পাওয়ায় তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করবে।
[৩] সূত্র জানায়, ব্যাংকের কৃষি ঋণ কার্যক্রম অব্যাহত ও বর্ধিত ঋণের চাহিদা পূরণ করার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা পুণঃঅর্থসংস্থান ঋণ একান্ত প্রয়োজন বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় কৃষি ব্যাংকের পক্ষে ২ হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থসংস্থান ঋণ মঞ্জুরীর জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ বিভাগকে জানায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থসংস্থান ঋণ মঞ্জুরীর জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিগত সম্মতির প্রয়োজন। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থ বিভাগ রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির সম্মতি দিছেয়ে।
[৪] তবে ঋণের মেয়াদকাল হবে এক বছর। এই ঋণের কোন গ্রেস পিরিয়ড দেয়া হয়নি। সুদের হারের ক্ষেত্রে ব্যাংক রেট প্রযোজ্য এবং এ ঋনের জন্য কোন প্রকার ফি ও কমিশন দিতে হবে না।
[৫] শুধু পৌনে দুই লাখ কৃষককে নতুন ঋণ দেয়ার পাশাপাশি বিকেবি গত অর্থবছরে প্রায় চার লাখ নতুন আমানতকারীও তৈরি করেছে। ফলে নানা অনিয়মের কারণে খারাপ অবস্থায় ব্যাংকটি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত জুনে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমে নেমে এসেছে ১৭ শতাংশে, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ শতাংশ।
[৬] ব্যাংটির আরেকটি সাফল্য হলো প্রবাসী আয় আনা। গত অর্থবছরে ব্যাংকটির মাধ্যমে দেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :