দেবদুলাল মুন্না: [২] কবি নির্মলেন্দু গুণ গতকাল বলেন, ‘একটি অমর কবিতার সব গুণ আছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে৷ কাব্যগুণসম্পন্ন বলেই হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মুখস্থ বলতে পারে৷ অন্য কোনো ভাষণ এভাবে স্কুল- কলেজের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে মুখস্থ বলতে পারে বলে আমার জানা নাই৷ এ জন্য নিউজ উইক পত্রিকার নিবন্ধে ‘দ্য পয়েট অব পলিটিক্স’ এ বলা হয়েছে।’
[৩] শিক্ষাবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের একটি সাক্ষাৎকার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। সেখানে আছে, জিয়ার ভাষায়, ‘সম্ভবত ৪ঠা মার্চে আমি ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে ডেকে নেই। আমাদের ছিল সেটা প্রথম বৈঠক। আমি তাকে সোজাসুজি বললাম, সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করার সময় দ্রæত এগিয়ে আসছে।৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা আমাদের কাছে এক গ্রিন সিগন্যাল বলে মনে হলো।’
[৪] তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিএনপি ৭ মার্চ কেন পালন করে না, আমার বোধগম্য নয়। এই দিনটি জিয়াউর রহমানের জীবনের গতি বদলে দেয় তা তো তিনি নিজেই বলে গেছেন।’
[৫]আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) ১৯ মিনিটের ভাষণে বাঙালি জাতিকে স্বপ্নে বিভোর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এরপরই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
[৬] এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :