মাজহারুল ইসলাম : [২] বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, পরিচালনা কাঠামো এবং পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনয়নে অব্যাহত অঙ্গীকারের কারণে জেনেভাভিত্তিক সংবাদ সংস্থা 'এনজিও অ্যাডভাইজার' কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি এই উন্নয়ন সংস্থা।
[৩] এর প্রতিক্রিয়ায় ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারপারসন আমিরা হক বলেছেন, আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আজ আমাদের মাঝে নেই। তার উত্তরাধিকারের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে এবং সব ধরনের শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এই দৃঢ় অঙ্গীকারের স্মারক হিসেবে আমরা এই স্বীকৃতিকে গ্রহণ করছি।
[৪] প্রায় ৫ দশকের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি ব্র্যাক ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর্মকৌশল ঘোষণা করেছে। এই কর্মকৌশলে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কার্যক্রমের বিস্তার। সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান এবং উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা ও জ্ঞান-অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের শক্তিশালীকরণ।
[৫] এনজিও অ্যাডভাইজারের প্রধান সম্পাদক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জন ক্রিস্টফ নথিয়াস বলেন, এ বছর বিশ্বের এনজিও র্যাংকিংয়ে ব্র্যাকের প্রথম স্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে তা হলো, উদ্ভাবন এবং ফলাফল বা প্রভাব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্ব্যক্ত অঙ্গীকার এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত পূর্বপ্রস্তুতি।
[৬] এনজিও অ্যাডভাইজার প্রতি বছর বিশ্বের ৫০০ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এই তালিকা তৈরি করে। এই র্যাংকিংয়ের বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে সকলের জন্য উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত, কার্যক্রমের প্রভাব ও নতুনত্ব। পরিচালন কাঠামো এবং স্থায়িত্ব।
[৭] চলতি বছর শীর্ষ ৫এ স্থান পাওয়া অন্য এনজিওগুলো হচ্ছে মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (ডক্টর উইদাউট বর্ডারস), ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস এবং মার্সি কোর।