ইত্তেফাক: [২] আইএলওর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে বেকারত্বের হারের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়!

[৩] প্রতিবছর যে সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করে বের হচ্ছে তার অর্ধেককেও চাকরির নিশ্চয়তা দিতে পারছে না সরকার। সুতরাং বেকারত্বকে খুব কম সময়ে যেসব দেশ সমাধান করেছে সেসব দেশের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা উচিত।

[৪] বর্তমান বাংলাদেশের সবচাইতে বড়ো চ্যালেঞ্জ হলো বেকারত্ব সমাধান করা। এজন্য অবশ্যই আমাদের কোরিয়া এবং চীনের দিকে তাকাতে হবে।

[৫] ১৯৫৪ সালে কোরিয়া সারা বিশ্ব থেকে সাহায্য গ্রহণ করত; মাত্র ৩০ বছরে কোরিয়া সাহায্যদাতা দেশে পরিণত হয়েছে। চীনের জনসংখ্যার আধিক্য থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পেরেছে।

[৬] কোরিয়া ও চীনের বেকারত্ব দূরীকরণে সবচাইতে অবদান রেখেছে কর্মমুখী শিক্ষা। যা আমাদের দেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। একইসঙ্গে কর্মমুখী কিংবা কারিগরি শিক্ষার দিকে মনোযোগী হতে আমাদের অভিভাবকদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে।

[৭] দেশে প্রশিক্ষিত লোকের অভাব—এ অজুহাতে বাংলাদেশে বিদেশি দক্ষকর্মী নিয়োজিত আছে প্রায় ৩ লাখ, যাদের পেছনে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিবছর গুনতে হয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এসব দক্ষ শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ করা হলে এবং পঞ্চদশ বাষির্কী পরিকল্পনা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বেকারত্ব চিরতরে দূর করা সম্ভব।

মো. মশিউর রহমান সহিদ ফেনী