মাসুদ আলম: [২] শুক্রবার সেগুনবাগিচা ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুলসুমের ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, স্বামী, শাশুড়ী ও তিন বছরের পুত্র সন্তান ঈশালকে নিয়ে কুলসুমের সংসার ছিলো সুখের। বিয়ের ৫ বছর পর থেকে স্বামী যৌতুক হিসাবে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনে দিতে বলেন স্ত্রীর কাছে। কুলসুমের বাবার পক্ষে এই ফ্ল্যাট কিনে দেওয়া সম্ভব ছিলো না। এরপর থেকে স্বামী এমদাদ হোসেন ইমন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে কুলসুমের ওপর।
[৩] এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের ১২ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাড়ির ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে কুলসুমকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় ইমন ও তার মা মনোয়ারা বেগম। এরপর তারা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রভাব বিস্তার করে পরিবর্তন করার চেস্টা করছে।
[৪] ৫ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার লেসিয়ারা গ্রামের ইমনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় কুলসুমের। ইমন শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ইমন স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা কুটকথা বলতে থাকে। এরপরই ফ্ল্যাট কেনার জন্য শ্বশুরের কাছে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় সামান্য অজুহাতে কুলসুমকে অমানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গত ২৩ জানুয়ারি কুলসুমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফ্ল্যাটের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়। পরে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ সহায়তা নিয়ে ইমনকে বাড্ডা থানা পুলিশ আটক করে। পরে ইমন পুলিশের কাছে মুচলেকায় মুক্তি পায়।
আপনার মতামত লিখুন :