শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০২০, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০২০, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভৌগলিক কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ

জনকণ্ঠ : [২] ঝুঁকির প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্বল অবকাঠামো, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অধিক জনসংখ্যা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তাই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জনগণকে এখনই সচেতন করার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ বিষেশজ্ঞরা মনে করেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে গণসচেতনতা।

[৩] সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, ৩ ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমত এবং সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে টেকটোনিক প্লেটের সংযোগ স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বের যতো ধরনের ভয়াবহ ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে, এরমধ্যে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষকে সবচেয়ে বিধ্বংসী বলে উল্লেখ করা হয়।

[৪] দ্বিতীয়ত দেশের অভ্যন্তরে ৪টি ভূ-চ্যুতি বা ফাটল রেখা রয়েছে। সেগুলো থেকেও যে কোন সময় ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে। এগুলো এখন সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।

[৫] তৃতীয়ত দেশের বাইরে থেকে উৎপন্ন হওয়া ভূমিকম্পেও ঝুঁকি কম নয়। পাশ^বর্তী আসাম, মেঘালয় ও মিয়ানমার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত। ওইসব রাজ্য থেকে সৃষ্টি ভূকিম্পের প্রভাবে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে ভবন ধসে যাওয়াসহ নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

[৬] সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, এসব রাজ্যেও ভূমিকম্পের সৃষ্টির জন্য একটি বলয় তৈরি হয়ে আছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে নেপালে উৎপত্তি ভূমিকম্পের প্রভাব রাজধানী ঢাকাতেও পড়েছে। ওই ভূমিকম্পে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি না হলেও মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

[৭] জানা যায়, বাংলাদেশে ভূমিকম্প সৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে অবকাঠামোগত দুর্বলতা। বেশিরভাগ ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধক নয়। ভূমিকম্পের পর ওইসব ভবনে উদ্ধার কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাজধানীর জনসংখ্যাও বড় একটি কারণ হয়ে উঠতে পারে।

[৮] রাজধানীতে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে ‘ঢাকা ভূমিকম্প ও জরুরী প্রস্তুতিমূলক সক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’ (ডিপার) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জার্মান রেডক্রস (জিআরসি), ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ, ব্রিটিশ রেড ক্রশ (বিআরসি), এ্যাকশন কন্ট্রা লা ফেইম (এসিএফ)-এর একটি কনসোর্টিয়াম যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে।

[৯] দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের (এমওডিআরএম), ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস), স্বাস্থ্য ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় (এমওএইচএ্যান্ডসিডবিøউ), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএইচএ), ওয়ার্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (ডবিøউডিএমসি), আরবান এ্যান্ড রেড ক্রস ইয়োলো (আরসিওয়াই) স্বেচ্ছাসেবীদের সম্পৃক্ত করে এ প্রকল্প রাজধানীর ১৮টি ওয়ার্ডে বাস্তবায়িত করছে। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়