আমাদের সময় : [২]দেশটা যখন বাংলাদেশ আর খেলাটা যখন ক্রিকেট তখন জাতীয় দলের অধিনায়কের মর্যাদা অনেক উঁচুতে। অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার দিন তাই তাকে প্রশ্ন করা হয় সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ায় আক্ষেপ থাকবে কিনা। উত্তরে মাশরাফি জানালেন, তিনি ওসবকে খুব একটা পাত্তা দেননি।
[৩]মাশরাফি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব যখন শুরু করেছি বা পরে, কখনো এসব অনুভব করিনি। আমার আরেকটা পরিচয় এমপি, এটিও কখনো সেভাবে অনুভব করিনি। লাল পাসপোর্ট নেইনি, বাড়ি নেইনি, গাড়ি নেইনি। আমি আসলে এসব থেকে সবসময়ই দূরে থাকতেই পছন্দ করেছি।’
[৪]ম্যাচ শেষে অধিনায়করা মাইকের সামনে একটা চেয়ারে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এই চেয়ারের মর্যাদা ও প্রভাব যথাযথ ভাবে ব্যবহারের কথা বলতে গিয়ে একরকম দার্শনিক ব্যাখ্যাই দিলেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি।
[৫]তিনি বলেন, ‘আমি অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সম্ভাব্য সবকিছুই কিন্তু ছিল এই চেয়ারকে ঘিরে। ভালো যা কিছু করতে থাকব, এই চেয়ারটা আমার কাছে আসতে থাকবে। যখনই আমি এই চেয়ারটা পেলাম, তখনই ওখানে শেষ লেখা হয়েছে। এই চেয়ার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আর নেই।’
[৬]অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এই চেয়ারটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত। এটার প্রভাব আমি অন্যভাবে খাটাতে চাই না। আমি জিনিসটা এভাবে দেখি যা আমি অর্জন করব বা অর্জন করতে যাচ্ছি। তা পাওয়ার পর ওটার মূল্য আর নাই। তখন সেটার মূল্যায়ন হবে আমি কিভাবে এটার প্রয়োগ করেছি।’
[৭]২০১০ সালের ৮ জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় অধিনায়ক মাশরাফির যাত্রা, কাল ৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে প্রায় ১০ বছরের চড়াই-উতরাইয়ের কাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :