রাকিব উদ্দীন : [২] অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ারের ইতি ঘটালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে কাকে দেখতে চান এ ব্যাপারে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দিকেই ইঙ্গিত দেন মাশরাফি। তার চাওয়া তরুণ ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি চাপ না দিয়ে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দিকে নজর দিতে।
[৩] যদিও নিয়ম অনুযায়ী সাকিবেরই হওয়ার কথা ছিল। তবে তার নিষেধাজ্ঞা বড় চিন্তায় ফেলেছে বিসিবিকে। সাকিব আসা পর্যন্ত মুশফিককে প্রস্তাব দিলেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব করতে চান না তিনি। পূর্ণ মেয়াদে দিলে ভেবে দেখবেন মুশফিক। তিনি বাদে বাকি রয়েছেন তামিম ও রিয়াদ। অন্তত মাশরাফি চান সিনিয়রদের থেকেই কাউকে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক।
[৪] সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমত এটা ক্রিকেটারের সিদ্ধান্ত নয়। অবশ্যই এটা ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত। মুশফিক থেকে যখন আমি অধিনায়কত্ব পাই তখন তাকে এই প্রশ্নটা করা হয়নি। কারণ সেটা মুশফিকেরও হাতে না। দলে সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছেন, তারা অবশ্যই যোগ্যতা রাখেন অধিনায়ক হওয়ার। বোর্ডের যাকে ভালো মনে হয়, একে দিলে দল একধাপ উপরে যাবে দল তার সঙ্গে আলোচনা করে যদি আনা হয় সেটাই দলের জন্য ভালো। আমি সিনিয়রদের পক্ষেই। তারা বেশ অভিজ্ঞ। দেখার বিষয় বোর্ড কাকে দায়িত্ব দেয়।’
[৫] তরুণদের উপর চাপ না বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে মাশরাফি আরো বলেন, ‘এটা নির্ভর করে। যদি আমার মতামত জানতে চান তাহলে বলব হীতের বিপরীতটাও হতে পারে। কারণ একজন তরুণ ক্রিকেটার যখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামে সেটাই তার জন্য অনেক বড় চাপ। ক্রিকেটও আগের মত নেই, মানুষ আগের চেয়ে ক্রিকেটের প্রতি বেশি ঝুঁকেছে। মিডিয়া তাকিয়ে থাকে, ক্যামেরা থাকে যে সে কেমন পারফর্ম করছে। এতো কিছুর উপরে আবার অধিনায়কত্ব করবে! ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবির যদি মনে করে এতো চাপ সামলাতে তাহলে কেন নয়?’
[৬] তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু আমার মনে হয় অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ ১২-১৪ বছর যারা পার করেছে তারা আপনাদেরকে বেশ ভালোভাবেই চিনে, বাইরের চাপও নিতে পারে ভালোভাবে। নির্ভর করছে উপরের মহলের লোকরা কী ভাবছে। তবে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের পক্ষে আমি। এইটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
আপনার মতামত লিখুন :