সুব্রত বিশ্বাস: অতীব দুর্ভাগ্যজনক। প্রথমত, বিভিন্ন নকল অভিযোগ, নকল ভিডিও আদৌ সত্য নয়। নকল, তা নকল। যা এফবিতে ছড়িয়ে পড়ছে তবে কতো শতাংশ সঠিক তা আমরা জানি না। তবে আমরা কখনো কখনো মন্তব্য করছি, কখনো কখনো সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বার্তা গোটাদেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে, যে অভিযোগকে এতো গুরুত্বসহকারে নতুন করে সামনে আনার যুক্তিই আদৌ নেই, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও অন্যায় শাসন হতে মুক্তি ও বিশেষত একটি প্রথিতযশা উচ্চ শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মুখে গণতান্ত্রিক দেশে অনাদর্শগত আপত্তি ভাবা বা ভাবনা অস্বাভাবিক কঠিন নয়। প্রসঙ্গত পদ্ধতিগত ও আদর্শগত আপত্তি বহু স্তরেই আলোচিত, চর্চিত হচ্ছে বছর বছরে।

বাস্তবিক রাষ্ট্র নিজেকে অত্যন্ত ঠুনকো ভাবলেই এই আপত্তি ও প্রশ্নের সামনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও কি নাগরিকের প্রতি অনাদর্শগত সেই রকম ব্যবহার করতে চায়? অথচ ইহা যে সর্বতোভাবে অন্যায় এবং নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ব্যতিক্রমী রাষ্ট্র বিরোধিতার ক্ষেত্রের জন্য তুলে রাখার বদলে যেকোনো ক্ষেত্রে নাগরিকের মৌলিক বাকস্বাধীনতা হরণ করে তাকে দমনপীড়নের জন্য ‘সিডিশন’ ক্রসফায়ার ইত্যাদি, আইন ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দশকের পর দশক ধরে দেখা গেছে, সব ক্ষেত্রে সব দলেরই একরা, এক নিস্পৃহতা। যে পায় রাষ্ট্রের ক্ষমতা, সেই বুঝিয়েছে অসীম মাহাত্ম্য। সামান্য কারণ বা অকারণেও সে জুজু ব্যবহার করে নাগরিককে শায়েস্তা রাখার পথটি সব শাসকেরই অতিশয় প্রিয় এবং গণতন্ত্র শেষ পর্যন্ত একটি পরিহাসে পরিণত। ফেসবুক থেকে