শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৫ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৮ সকাল
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২০, ০৭:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আসলে কাজ কী?

রুশাদ ফরীদি: ২০২০ সালের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের জন্য একটা চরম অবমাননাকর ঘটনা ঘটে। গত ৫ জানুয়ারি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ছাত্রীদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ নিয়ে মারামারি লাগে। তখন সেই হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষিকা জোবায়দা নাসরিন মারামারি থামাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন তার ভাষ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারধর করে। তার চুল ধরে টেনে ফেলে দেয়। অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমরা এই ঘটনার কিছু দিন পরে ৪০ জনেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকার স্বাক্ষর যোগাড় করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠি দিই। আমাদের দাবি ছিলো অবিলম্বে একটি সাধারণ সভা ডেকে এই গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সভাপতি মহোদয় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত এই অজুহাতে সভা ডাকার সময় পেছাতে থাকে। সভাপতি সাহেব যখন সময় পেলেন তখন দেখা গেলো চিঠি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। যাই হোক, শেষমেষ দেখা গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে ছাত্রীরা প্রহার করলো, গালিগালাজ করলো, এ রকম একটা ভয়ানক বিষয় নিয়ে কোনো মিটিং ডাকার প্রয়োজন মনে করলেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি অনেকদিন ধরেই ছায়া প্রশাসন হিসেবে কাজ করছে। নিপীড়নের শিকার সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়ানোর নজির আমরা বেশ কিছু দিন ধরেই দেখছি না। তাহলে প্রশ্ন উঠে শিক্ষক সমিতির আসলে কী কাজ? তাঁর চেয়ে গুরুতর প্রশ্ন হলো বছরের পর বছর শিক্ষক সমিতি এভাবে সাধারণ শিক্ষকের স্বার্থপরিপন্থী কাজ করে কীভাবে এতো ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হচ্ছে? এর বড় একটা কারণ হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা জোম্বিতে, প্রাণহীন, বোধহীন প্রেতাত্মায় পরিণত হয়েছে। তারা ভূতের মতো নিঃশব্দে নীরবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন, কোনোমতে একটা ক্লাস নিলেন কী নিলেন না, তারপর চলে যান। যারা সরব, তারা লাউঞ্জে বসে চায়ের কাপে দুনিয়া উল্টে ফেলেন। কেউ কেউ বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করছেন, বইটই লিখে, গবেষণা করে উল্টে ফেলছেন, টকশোতে এসে একশ একটা নীতিকথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেসিক যে মানবিক গুণ একজন শিক্ষকের মধ্যে থাকা দরকার, নিজ প্রতিষ্ঠানে অন্তত এই ধরনের ভয়াবহ নিপীড়নের প্রতিবাদ, সেটি করার বিন্দুমাত্র মুরোদ নেই। তো আমরা হয়তো এখন ভাবছি যে আমরা বেশ নিরাপদ আছি, কারও সাতে-পাঁচে নেই। কিন্তু আজকে হলে একজন শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হলেন। এখন এই ভয়ংকর অন্যায়ের প্রতিকার না হলে কিছু দিন পরে কারণে-অকারণে রাস্তাঘাটে এসে ছাত্র লীগের কর্মীরা এসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যখন ইচ্ছা হেনস্তা করবে। জোবায়দা নাসরিনের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সামগ্রিক ভূমিকা এটাই বোঝায় যে আমরা আসলে সেই সুদিনের অপেক্ষায় আছি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়