জামাল হোসেন খোকন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা): [২] চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর সড়কের সাগরঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ও জনতার প্রতিরোধে মুখে তা রক্ষা হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার সকালে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এলাকার রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু লোক ইতিপুর্বে ওই সড়কের গাছ একই ভাবে কেটে নিয়ে গেছে।
[৩] প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়,জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর সাগরঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন স্থান সরকারী ভাবে সৃজন করা বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ বেশ কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যেই কেটে নিয়ে যাওয়ূার এক পর্যায়ে একই ভাবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মাধবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম(৭০) রাস্তার একটি মোটা জাম গাছ কেটে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ও হাসাদহ ক্যাম্পের পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে।
[৪] অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি শুধু আমি নয়,এলাকার অনেক প্রভাবশালী লোকই ইতিপুর্বে ওই সড়কের মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তাদেরকে কেউ কিছু না বলায় আমিও একই ভাবে গাছটি কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এলাকায় খোঁজখবর নিলেই জানা যাবে ইতিপুর্বে কারা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। যারা গাছ কেটে নিয়ে গেছে তারা সবাই রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তি। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই-ই তো গাছ কেটে নিয়ে গেছে। কেউ তো তাকে কিছু বলল না?
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার আশাদুল হক ও আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,চেয়ারম্যানের ভাই যে গাছ কেটেছে তা রাস্তা থেকে অনেক দুরে জমির মধ্যে অবস্থিত গাছ কেটেছে। তবে উপজেলা বনবিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে সরকারী রাস্তার গাছ অহরহ কেটে নিয়ে যাওয়া হলেও নানা কারণে তারা সাক্ষী গোপালের ভ’মিকা পালন করে থাকে। অন্যান্য দিনের মত বুধবার সকালে গাছ কাটার সময়ও বন বিভাগের কর্মচারি মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন,ঘটনার কথা শুনে আমরা সেখানে হাসাদহ ক্যাম্পের পুলিশ পাঠাই এবং গাছ কাটা বন্ধ করে বিষয়টি বনবিভাগ কর্তৃকপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমাদেরকে লিখিত দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব
আপনার মতামত লিখুন :