আবদুল ওহাব , শাজাহানপুর প্রতিনিধি : [২] জেলার পোয়লগাছ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জোসনা আকতার (১৪) কে স্কুল কক্ষেই শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ উঠেছে। ্জোসনা উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের শহিদুল ইসালামের মেয়ে। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।
[২] অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জোসনার সাথে একই ক্লাসে লেখাপড়া করতো পার্শ্ববর্তী শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের মালিহাটা গ্রামের শাহিদুল ইসলামের ছেলে সৈকত (১৫)। সেই সূত্রে দীর্ঘদিন যাবত সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু এতে সে রাজি না হওয়ায় স্কুলে যাতায়াতের পথে ও টিফিনের সময় সৈকত বিভিন্ন বিরক্ত করে আসছিলো। এরই ধাবাবাহিকতায় মঙ্গলবার টিফিনের শেষের দিকে ক্লাসরুমে তাকে একা পেয়ে সৈকত তাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
[৩] কিন্তু জোসনা আবারও তা প্রত্যাখান করে ও সৈকতকে চড় মারে। এতে সৈকত রাগাম্বিত হয়ে জোসনাকে কিলঘুষি সহ টানা-হেচড়া করে ও শ্লীলতাহানী করে। একপর্যায়ে জোসনা জ্ঞ্যান হারিয়ে মাটিতে পড়লে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা তাকে পাশ্ববর্তী পেয়ালগাছা বাজারে গ্রামীন ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জোসনাকে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এতদাসত্বেও প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৪] ছাত্রীটির মা মিলি বেগম জানান, জোসনার বাবা সংসারের ভরণ পোষন না দেয়ায় অভাবের সংসার হওয়ায় জোসনাকে ২ বছর বয়সে তার নানীর বাড়ীতে রাখি। সেখানে লালিত পালিত হয়ে বেড়ে উঠছে এবং ছোটবেলা থেকে পাশ্ববর্তী পোয়ালগাছা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপাড়া করছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী জোসনা জানায়, তার সাথে একই ক্লাসে লেখাপড়া করতো সৈকত (১৫)। একসাথে ক্লাস আর স্কুল জীবন হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত সে তাকে বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তা প্রত্যাখান করায় মঙ্গলবার তাকে কিলঘুষি ও টানা-হেচড়া করে।
[৫] এবষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :