মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে এক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শিক্ষিকা ফরিদা আক্তার। এছাড়া ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
[৩] গত সোমবার সাজেদুল ইসলাম রাজু নামে এক ছাত্রকে শিবির সন্দেহ করে পুলিশে দেয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। পরে পুলিশ তাকে কলেজে যেতে নিষেধ করে এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন সকালে রাজু আবারও কলেজে গেলে মানিকের অনুসারীরা তাকে ধরতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের আরেক নেতা হাফিজ আলম বাঁধা দেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায় আত্মরক্ষার্থে রাজু ও তার সহযোগীরা ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষিকা ফরিদা পারভীনের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় রাজুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে গেলে শিক্ষিকা হাত বাড়িয়ে আটকাতে চেষ্টা করেন। এতে তার আঙুল ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। এছাড়া ওই শিক্ষিকার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশেও গুরুতর আঘাত পান। মেয়াদোর্ত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছিলো কলেজ ছাত্রলীগ।
[৪] ফরিদা আক্তার জানান, লাঠির আঘাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চেতনা ফিরলে দেখতে পান পঙ্গু হাসপাতালে। বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে আছেন। ওই শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন।
[৫] দারুস সালাম থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :