এল আর বাদল : [২] আইপিএল শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ধাক্কা দিলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এবছর আইপিএল জয়ের পুরস্কারমূল্য কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। বোর্ডের বিপুল পরিমাণ খরচ কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুরস্কারমূল্য কমানোর বিজ্ঞপ্তি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
[৩] বোর্ড সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গতবারের তুলনায় অর্ধেক করা হয়েছে পুরস্কারমূল্য। ২০১৯ সালের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া হয়েছিলো নগদ ২০ কোটি টাকা। তা এবার একধাক্কায় কমে হচ্ছে ১০ কোটি। গতবার রানারআপ দল পেয়েছিলো সাড়ে বারো কোটি টাকা। এবার তা কমে হচ্ছে ৬.৫ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল অর্থাৎ কোয়ালিফায়ার পর্ব থেকে যে দুটি দল ছিটকে যাচ্ছে তাদের দেওয়া হবে ৪.৩৭৫ কোটি টাকা।
[৪] বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, আইপিএলের ২০২০ সালের সবকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই লাভজনক অবস্থায় আছে। তাছাড়া ওদের কাছে রোজগারের অনেক রাস্তা আছে। স্পনসরশিপ, টিকিট বিক্রির মতো অনেক উপায় আছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৫] শুধু যে পুরস্কারমূল্য কমানো হচ্ছে তা নয়, বোর্ডের কর্তাদেরও খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, আইপিএল চলাকালীন আন্তঃরাজ্য ফ্লাইটে কেউ বিজনেস ক্লাসের টিকিট ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ম্যাচ আয়োজনের জন্য রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির বরাদ্দে কোনও কাটছাঁট করা হয়নি। প্রতিটি ম্যাচ আয়োজনের জন্য রাজ্যের সংস্থাগুলি পাবে ১ কোটি টাকা করে। ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হবে বোর্ডের তরফে। বাকি ৫০ লাখ দেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
[৬] উল্লেখ্য, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন খাতে বিপুল খরচে রাশ টানার উদ্যোগ নিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তার মূল উদ্দেশ্য ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিকাঠামো খাতে ব্যয় বাড়ানো। তাছাড়া, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সেই উদ্দেশ্যেই হয়তো আইপিএলের খরচ কমালেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :