লাইজুল ইসলাম : [২] পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। এরপরই দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে শেষের দুই মাস দেশে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
[৩] এ অবস্থায় মিশর, চীন, মায়ানমার, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার। তারপরও পেঁয়াজের দাম ১‘’ টাকার নিচে নামানো যায়নি। দেশি পেঁয়াজ কিছুটা ওঠার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম ১’শ টাকার মধ্যে চলে এসেছে।
[৪] বুধবার সকালে কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মিয়ানমার ৬৫-৬৪, দেশি ৬৪-৬০, চায়না ৪০-৪৫, পাকিস্তান ৬০-৬২ টাকা প্রতি কেজি।
[৫] কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ দেশে আসলে দেশি পেঁয়াজের মূল্য চলে আসবে ৩০-৩৫ টাকায়। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষীরা বলে মনে করেন তিনি। বলেন, দাম বাড়তি দেখে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এখন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ দেশি চাষীদের জন্য সমস্যা।
[৬] একই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী কালাম শেখ বলেন, দেশের পেঁয়াজের বাজার এখন নিম্নমুখি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম আরো কমবে। এটি ২৫-৪০ টাকার মধ্যেই চলে আসবে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ দেশে না আসলে এখনো পেঁয়াজের দাম ১’শ টাকার ওপরে থাকতো।
[৬] তিনি আরো বলেন, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন না হলেও লাভ কম হবে। এখন যে লাভটা পাচ্ছে তা আর পাবেন না কৃষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :