শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৯:১৬ সকাল
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৯:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিনিয়োগ উপযোগীর শীর্ষে থেকেও আগ্রহের তলানিতে ব্যাংক শেয়ার

নিউজ ডেস্ক : [২] পুঁজিবাজারের ইতিহাসে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাতের শেয়ার। বর্তমানে ব্যাংক খাতের শেয়ারের গড় মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করেছে ছয় দশমিক ৮৭তে; যা কখনও দেখা যায়নি। কিন্তু এরপরও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কমতি নেই এ খাত। শেয়ার বিজ

[৩] বর্তমানে ১৯টি খাতের কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে ব্যাংক খাত। এর মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অভিহিত দর বা ১০ টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে। ১৩টির শেয়ারদর রয়েছে ২০ টাকার নিচে। বাকি ৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ২০ টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে। এ খাতের সর্বোচ্চ দামি শেয়ার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। বর্তমানে এ শেয়ার ৬৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

[৪] নিয়মানুযায়ী, যে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত যত কম সেই শেয়ারের চাহিদা তত বেশি থাকার কথা। কিন্তু ব্যাংক খাতে এর উল্টো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের শেয়ারের গড় পিই-রেশিও ৪৯। আর্থিক খাতের ৫১ দশমিক ২৮। উচ্চমাত্রার এ পিই-রেশিও নিয়ে দর বৃদ্ধির দাপট দেখাচ্ছে এসব খাতের কিছু কোম্পানি।

[৫] মূলত ২০১০ সালের পর থেকেই ব্যাংক খাতের প্রতি অনীহা দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের। অধিকাংশ ব্যাংকেরই তখন আয়-মুনাফায় ভাটা পড়ে। পরে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসহ খাতটিতে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এসব পরিস্থিতি অনুকূলে এলেও খাতটি আর বিনিয়োগকারী টানতে পারেনি। বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাংকের সুদহার ছয়-নয়।

[৬] ব্যাংক খাতে নয়-ছয় সুদহারের বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাকে অযৌক্তিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, নয়-ছয় বাস্তবায়নের কারণে ব্যাংকের মুনাফায় তেমন একটা প্রভাব পড়বে না।

[৭] আগামী এপ্রিল থেকে ব্যাংক খাতে নয়-ছয় সুদহার কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ তখন থেকে ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ছয় শতাংশ সুদ দিতে পারবে। অন্যদিকে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।

[৮] ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে ঋণের সুদ। ব্যাংক যে আমানত নিয়ে থাকে, তারই একটি বড় অংশ আবার ঋণ হিসেবে বিতরণ করে। যে সুদে আমানত নেওয়া হয়, ঋণের সুদ হয় তার চেয়ে কিছুটা বেশি। এ দুই সুদ হারের মধ্যে যে ব্যবধান তা-ই ব্যাংকের আয়। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের ফি ও কমিশন থেকেও ব্যাংকের কিছু আয় হয়ে থাকে। এ আয় থেকে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় মেটানো, মন্দ ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখা এবং আয়কর দেওয়ার পর কোনো অর্থ উদ্বৃত্ত হলে সেটি হয় ব্যাংকের নিট মুনাফা। আর এ মুনাফা থেকেই ব্যাংক লভ্যাংশ বিতরণ করে থাকে। মূলত এ কারণেই সম্প্রতি ব্যাংক শেয়ারের প্রতি আরও অনীহা তৈরি হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

[৯] বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ব্যাংকের লভ্যাংশ দেওয়ার সামর্থ্য কমে যাবে। এমন আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের অনেকে ব্যাংক খাতের শেয়ার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। তাতে এই খাতের শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে।

[১০] তবে বিষয়টি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সুদহার নয়-ছয়ের কারণে ব্যাংকের মুনাফায় তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। ব্যাংকের মুনাফা হয় মূলত স্প্রেড থেকে। নয়-ছয়ের কারণে সুদ খাতে ব্যাংকের আয় যেমন কমবে, তেমনই এ খাতে ব্যয়ও কমবে। অর্থাৎ আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এ কারণে বিষয়টি মুনাফায় প্রভাব ফেলবে না।

[১১] এদিকে ব্যাংক খাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তলানিতে নামলেও গত মাসে এ খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়তে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, যারা এ খাতে বিনিয়োগ করছেন আমি মনে করি তারা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ খাতের শেয়ার এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছে এ পরিস্থিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কররে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়