আসিফ কাজল : [২] বুধবার কেরানীগঞ্জের জাজিরায় সংবাদ সম্মেলনে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ এর প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন এ তথ্য জানান।
৩] তিনি বলেন, চীনের হুবেই প্রদেশে যেসব কর্মকর্তা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সেসব কর্মকর্তাগণকে বাংলাদেশে ফিরে আসার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যারা অনুমতি পাচ্ছেন তাদেরকে দু’সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এছাড়া, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন কর্মকর্তাদের শারিরীক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থার্মোমিটার, মেডিকেল মাস্কসহ করোনা ভাকইরাস প্রতিরোধে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
৪] ওয়াং কুন বলেন, এ ভাইরাসের কারণে কিছু কর্মকর্তার এপাডেমিক সেন্টার ছাড়ার অনুমতি নেই। যে কারণে পদ্মা রেল সংযোগ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে। তবে কর্মকর্তাদের বার্ষিক ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৫] তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালিতে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। চীন ছাড়াও এসব দেশ থেকে মানুষ আসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বর সঙ্গে বিবেচনার প্রস্তান দেয়া হয়।
৬] সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৯টির কাজ সম্পন্ন ও ৪১টি ২৫টি স্প্যান উঠেছে। যা মোট প্রকল্পের ৮৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ দৃশ্যমান বলে জানানো হয়। পদ্মা সেতুর উপর রেলপথ নির্মাণে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী বছর শেষ হবে বলে জানানো হয়।
৭] সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জান, চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লিউ ঝেনহুয়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এ চীনা ঠিকাদারগণসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :