[২] আটক বিধায়কদের চারজন কংগ্রেসের, দুজন বহুজন সমাজ পার্টির, একজন সমাদবাদী পার্টির ও আর একজন নির্দলীয় বিধায়ক। মাঝরাতে আচমকা নাটকীয়ভাবে সংকট এসে দাঁড়ায় ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকারের সামনে। ৮ বিধায়ককে গুরুগ্রামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার পর তাদের ফেরাতে রাতেই শুরু হয়ে যায় তৎপরতা।
[৩] সরকার ফেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তরুণ ভানোটের অভিযোগ, ৮ বিধায়ককে গুরুগ্রামের বিলাসবহুল হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। তাদের কারও সঙ্গে কংগ্রেসের মন্ত্রীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। হরিয়ানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
[৪] মঙ্গলবার রাত ২টায় কংগ্রেস নেতা দিগি¦জয় সিং-এর ছেলে জয়বর্ধন সিং জানান, হোটেলের ৬ বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে কংগ্রেস। বাকিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। হোটেলের বাইরে বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্রকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন জয়বর্ধন।
[৫] বুধবার ভোরে দিগ্বিজয় সিং জানান, আমরা যখনই এটা জানতে পারি, তখনই ঘটনাস্থলে যায় জিতু পটওয়ারি ও জয়বর্ধন। যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পেরেছি, তারা আমার কাছে ফিরে আসতে রাজি আছেন। বিসাহুলাল সিং ও রামাবাইয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। বিজেপি আটকানোর চেষ্টা করলেও রামাবাই ফিরে এসেছেন।
[৬] জিতু পটওয়ারি জানান, ষড়যন্ত্র করে, জোর করে আট বিধায়ককে হরিয়ানার হোটেলে নিয়ে যান শীর্ষ বিজেপি নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, প্রাক্তন মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র, ভূপেন্দ্র সিং ও রামপাল সিং। বিধায়করা জানিয়েছেন, তাদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
'
[৭] প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জিতু ও জয়বর্ধনের সঙ্গে হোটেল থেকে ফিরছেন বিএসটি বিধায়ক রামাবাই পরিহার। গত ডিসেম্বরে তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছিলেন মায়াবতী। জিতুর দাবি, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। খুব শিগগিরই তারা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন। এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :