ইসমাঈল আযহার: [২] ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, মুজিব বর্ষের দিন ১০০ হাফেজ কুরআন খতম করবে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আওয়ার ইসলাম
[৩] এছাড়াও দিনটিকে ঘিরে ধর্মমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং দেশের শহীদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে। দোয়া শেষে ভোজের আয়োজন করা হবে।
[৪] কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মুজিব বর্ষকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে —এ বিষয়ে জানতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র সদস্য ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সরকারের আয়োজনে জনতার সার্বিক অংশগ্রহণে উদ্যাপিত হবে। মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের ব্যাপারে প্রতিটি নাগরিকের নিজস্ব মত ও স্বাধীনতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামও নিজস্ব জায়গা থেকেই চিন্তা করবেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান কেউ ভুলতে পারবে না। সুতরাং, ওলামায়ে কেরামেরও উচিৎ— মুজিব বর্ষের তাৎপর্যকে উপলব্ধি করে তাকে স্মরণ করা, তার জন্য দোয়া করা।
[৬] কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর ভারপ্রাপ্ত কো চেয়ারম্যান ও কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’-এর মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেনম ’ মুজিব বর্ষের নিয়ে আমাদের কোন পরিকল্পনা নাই।
[৭] আগামী ১৭ মার্চ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়কের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে চলছে নানা প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ই মার্চ শুরু হবে মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :