শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৯:৩৮ সকাল
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৯:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঈশ্বরদীতে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, শিক্ষক অবরুদ্ধ, পরে সাময়িক বরখাস্ত

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:[২]  ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার ভৌমিককের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এক ছাত্রীর বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় গ্রামবাসী গেল রোববার (০১ মার্চ) ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

[৪] মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি সরকার জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পাবনা জেলা কর্মকর্তার কাছ সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনছুর রহমান সোমবার (২ মার্চ) ওই শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

[৫] গ্রামবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভাড়ইমারী মাথালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি শ্রেণীকক্ষে কোনো শিক্ষক না থাকায় পঞ্চম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তাদের শ্লীলতাহানি করে। তাৎক্ষণিক ওই শিশু শিক্ষার্থীরা কান্না শুরু করে। পরে শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের হয়ে বিষয়টি সহপাঠীদের জানিয়ে দেয়। খবরটি জানাজানি হলে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে এসে উত্তেজিত হয়ে অপরাধী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে। সেদিন সুকৌশলে পালিয়ে যান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পরে অভিভাবকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

[৬] পঞ্চম শ্রেণির চারজন ছাত্রী জানায়, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে তাদের অশ্লীল ভিডিও দেখায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। অশ্লীল কথা বলে। বিষয়টি কাউকে জানালে পরীক্ষায় ফেল করানো হবে এমন ভয় দেখানো হয়।

একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাইত না, কান্না করত। কেন যেতে চায় না জানতে চাইলে সে আমাদের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। তখন বিষয়টি লিখিতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানাই।’

ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আইনুল হক বলেন, তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নিপীড়ন করতে ভালোবাসেন এবং তা করেনও। বিবেকবর্জিত এ শিক্ষকের কারণে মেয়েদের শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। অনেক মেয়ের পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই তার শাস্তি ও বদলি দাবি করে শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। উত্তর পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি সরকার বলেন, ‘এক ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলি। দুই জন ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।’

ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এলাকার কিছু মানুষ আমাকে বিদ্যালয় থেকে তাড়ানোর জন্য ছাত্রীদের দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়