রবিন আহসান : ১৯৭১ আমার আব্বা সরকারি চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস অফিসে জাননি বলে দেশদ্রোহী হিসেবে পাকিস্তান সরকারের বিচারে তার দেখা মাত্র গুলির হুকুম আসে। তখন সেই বয়সী তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ছিলো। তো দেশ স্বাধীন হলে আব্বাকে কয়েক হালি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিটে দেয় এমএজি ওসমানীর পক্ষ থেকে। আব্বা সেগুলো ফেলে দেন। কারণ তিনি তো আসলে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
আমরাও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নই। ছোটবেলা থেকে আমি মুক্তিযুদ্ধকে নানা এঙ্গেলে দেখতে শুরু করি। ইতিহাসের বইপত্রের চেয়ে পরিবারের নানা জনের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিই আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্ব পায়। মুক্তিযুদ্ধে আমার দাদীর ৬ ছেলে একজনও যে মুক্তিযুদ্ধে গেলো না এবং এ নিয়ে তার আক্ষেপ ছিলো অনেক। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধের সময় তিনি এক নৌকায় হিন্দু-মুসলমান-বিহারী পরিবার নিয়ে যে গ্রামে যাত্রা করেছিলেন সেই কাহিনি আমি একটা ফর্মে গেঁথে রাখতে চাই। হতে পারে সে এক দীর্ঘ কবিতা...।
আপনার মতামত লিখুন :