শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২০, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সাংবাদিকতা ছেড়ে রান্নাঘর সামলে, তিনটি রেস্তোরাঁর মালিক নিপা

নিউজ ডেস্ক : [২] ইশরাত জাহান নিপা ঢাকার তিনটি রেস্তোরাঁর মালিক। নিজের রান্নাঘর থেকেই তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন।

[৩] মানুষ হিসেবে জন্ম নেয়াই মানুষের জীবনের এক ধরনের সাফল্য। একারণেই, প্রতিটি মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার আছে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার। তাই মানুষ যখন দারিদ্র্য, সন্ত্রাস বা ক্ষুধার মধ্যে বাঁচে, বলা হয় তখন মানবতার অপমান হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগই আমরা তা বুঝিনা বা বুঝতে চাইনা। প্রতিটি মানুষই অসাধারণ কিছু ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। তবে সে অসাধারণত্ব নিজেকে আবিষ্কার করতে হয়, চর্চা দিয়ে তাকে বিকশিত করতে হয় যার সুযোগ বেশিরভাগ মানুষই পায় না, অনেকে সুযোগ পেলেও অলসতা কিংবা অজ্ঞানতাবশত করেনা।

[৪] ইশরাত জাহান নিপা’র সেই অলসতা ও অজ্ঞানতা কোনটাই ছিল না। তিনি জানতেন তিনি কি করতে চান। প্রথমে ভেবেছিলেন সাংবাদিকতা করবেন। স্নাতকোত্তর শেষ করে সাংবাদিক হয়েও ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকতা মানেই চ্যালেঞ্জিং জীবন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতা মানে আরও কয়েকগুণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জিং প্রতিষ্ঠানের বাইরে এবং ভেতরেও। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের কর্ম পরিবেশ, অনিয়মিত সুযোগ সুবিধা, অপ্রত্যাশিত আচরণও অনেক সময় সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। যাইহোক, কোন এক ঝামেলার কারণে অভিমান এবং কষ্ট নিয়ে তিনি সাংবাদিকতা পেশা থেকে বেড়িয়ে আসেন ২০১২ সালে।

ব্যবসায়িক জীবনের লড়াই :

[৫] নীপার এই রূপান্তরের জন্য কিন্তু তাকে পার হতে হয়েছে সমস্যার পাহাড়। এমনকি নিপা নিজেই বলেন তিনি যতটা না উদ্যোক্তা তার চেয়ে বেশি সমস্যা সমাধানকারী। আর কোন উদ্যোগ বা ব্যবসায় মানেই হচ্ছে উত্থান-পতন এবং সমস্যা থাকবেই। পাঁচ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে দোকান পুড়েছে দুবার। সংবাদ মাধ্যমে বলেন, যতটা না ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তার থেকে বেশি হচ্ছেন মেয়ে হিসেবে। কিন্তু ব্যবসা বা ব্যক্তি জীবন কোনটাই থামিয়ে রাখেরনি তিনি এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও। ব্যক্তি জীবনে এই উদ্যোক্তা দুই সন্তানের জননীও হয়েছেন। তাই সংসার আর ব্যবসা সবই তাঁকে দুই হাতে সামলাতে হয়।

[৬] নিপার কথা আসলে আক্ষরিক অর্থে সত্য। এই প্রচণ্ড প্রতিযোগিতাপূর্ন ও অস্থির সময়ে চাকরি ও ব্যবসায় দুইই কঠিন। অনেকে মনে করেন চাকরি করার চেয়ে ব্যবসা করা বোধহয় তুলনামূলক সহজ। আসলে তা নয়। উভয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকবেই। তবে চাকরির চেয়ে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি সচেতন ও স্বতঃস্ফূর্ত (Proactive) হতে হয়। কারণ যেকোনো ক্ষতি ও ঝুঁকির দায়িত্ব তখন নিজেকেই গ্রহণ করতে হয়। কর্মীদের জীবনের দায়িত্বও কিছুটা নিতে হয়। তাই যারা স্বাধীনভাবে প্রোঅ্যাকটিভ থাকতে চান বা পারবেন বলে মনে করেন, পেশা হিসেবে ব্যবসায়কে গ্রহণ করা তাদের জন্যই কেবল মানানসই।

[৭] নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি নিপার পরামর্শ হল, কোন সমস্যাকে পাত্তা না দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য এবং আত্মবিশ্বাস একবিন্দুতে মিলাতে পারলে সফলতা আসবেই ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ ২৪।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়