আসিফ কাজল: [২] মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে। এর আগে সরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো কয়লা চুরি হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার টন।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়, পেট্রোবাংলা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) ২৩ কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দায়ী করা হয়।
[৪] প্রতিবেদনটি যৌথভাবে পাঠ করেন ছয় সদস্যের কমিটির সভাপতি লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ খোলাবাজারে কয়লা বিক্রির সময় আর্দ্রতা বা পানি ১০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশের বেশি পানি যুক্ত কয়লা দেয়া হয়। এসময় পিডিবি ছাড়া অন্য কারও কাছে কয়লা বিক্রি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
[৫] দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা তোলার কাজটি করে চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়াম। এই প্রতিষ্ঠানকে গত ১৩ বছরে ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার টন কয়লা উত্তলনের বিল দিয়েছে বিসিএমসিএল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ আরও পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার টন বেশি কয়লা পেয়েছে। এ কয়লার বর্তমান দাম প্রায় ৯২৭ কোটি টাকা (খোলাবাজারে প্রতি টন কয়লার দাম ১৬ হাজার ৯২৭ টাকা)। এই টাকা খনি কোম্পানির তহবিলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটার কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়।