রিয়াদ ইসলাম, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: [২] ঈশ্বরদীর চাঞ্চল্যকর ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক।
[৩] গত বৃহ¯পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ ওয়ালিউল ইসলামের শুনানি শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
[৪] এদিন রায় শোনার পরে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিচার ব্যবস্থার উপরে আমার আস্থা ছিলো। আমাকে যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিলো, তা আদালতের রায়েও প্রমাণিত হলো। তবে যে চরম সামাজিক অসম্মানের মধ্যে আমাকে পড়তে হয়েছিলো তখন, সেই কথা ভাবলেও আজও আঁতকে উঠি। আমার পরিবারের লোকেদেরও কম কষ্ট পেতে হয়নি। মিথ্যা অভিযোগে যে আমাকে পরিকল্পনা করেই ফাঁসানো হয়েছিলো, এটি আদালতে সেটা প্রমাণ হয়েছে।
[৫] এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, আমি অবশ্য আগেই শুনেছি, তবে রায়ের কাগজ হাতে পাইনি। মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছে তা মেনে চলতে আমরা সকলেই বাধ্য। কারণ আমরা কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়।
[৬] পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গেলো বছরের ২৭ মে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়। এর আগে ওই ছাত্রী ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়। তদন্তে ইউএনও আহাম্মদ হোসেন ভুঁইয়া অভিযোগের সত্যতা পান ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
[৭] মামলার পর থেকে মোজাম্মেল হক আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সোর্স ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ। সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল গেল ১৬ জুন ঢাকায় যান। তাদের কাছে তথ্য ছিলো মোজাম্মেল শাহবাগ এলাকায় আছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন বিকেলে শাহবাগের অদূরে সড়ক থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :