মামুনর রশিদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :[২] সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উপজেলার ফুলজোড় ও ইছামতি নদীতে চর জেগে উঠায় নৌ চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। নদীর বুক জুড়ে ধানের আবাদ শুরু করেছে কৃষক। করতোয়া শাখা নদীর ফুলজোড় ও যমুনার শাখা নদী ইছামতির তলদেশে ধান, গম, সরিষা, কলাই চাষ করছে বেশ কয়েক বছর ধরে।
[৩] এ নদী দুটির তীরবর্তী উপজেলার তবারিপাড়া, শ্যামগোপ, ভূইয়াগাঁতী, চরতেলিজানা, ফরিদপুর, সাহেবগঞ্জ, কায়েমগ্রাম, নলকা, ব্রহ্মণবাড়িয়া, কালিঞ্জায় নদীর তলদেশে চাষাবাদ হচ্ছে। করতোয়া নদীর রায়গঞ্জ অংশের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং যমুনার ইছামতি নদীর অংশের ৩০ কিলোমিটারের প্রায় সবক’টি নদীর তলদেশে চলছে শস্য উৎপাদন। অল্প সংখ্যক জায়গায় গভীরতা বেশি থাকায় এখনও সেসব স্থানে চাষাযোগ্য হয়ে ওটেনি।
[৪]ঘন বসতির দেশে খাদ্যের চাহিদা বাড়ায় নদীর তলদেশে শষ্য উৎপাদনে এক শ্রেণীর কৃষক ও খাদ্য বিষেশজ্ঞরা খুশি হলেও পরিবেশ ও পানি বিষেশজ্ঞরা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। দিনদিন এ নদী দুটির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় হয়তো তলদেশে শস্য উৎপাদনের উপযোগী হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক নিয়মে ভাঙ্গা-গড়ার পরিবর্তে অস্বাভাবিকভাবে বিস্তির্ণ ভূমি ও বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে অন্যদিকে নদীর প্রস্থতা কমে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই নয় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভূঞাগাঁতী শ্বশানঘাট ভেঙ্গে মহাসড়কের কাছাকছি চলে আসায় মহাসড়ক ঝুকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৫] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার জানান এক সময় এই নদীর জায়গাগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিলো। বর্তমানে তা সরকারি খাস খতিয়ানে আসলেও জমির পূর্ব মালিকেরা ঐ জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। সম্পাদনা : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :