রাশিদ রিয়াজ : [২] ব্যক্তিগত দক্ষতায় জিই-কে একটি সাধারণ কোম্পানি থেকে বিশ্বে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন জ্যাক ওয়েলচ। টানা ২০ বছর তিনি জেনারেল ইলেক্ট্রিক-র প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। বিশ্বের তাবড় তাবড় কর্পোরেট বসরা জ্যাক ওয়েলচকে গুরু বলে মনে করেন। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন জেনারেল ইলেকট্রিকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সিইও জ্যাক ওয়েলচ। জিই-বে বিশ্বের শিল্প এবং অর্থনৈতিক পরিষেবার পাওয়ার হাবে পরিণত করেন তিনি। জ্যাক ওয়েলচের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
[৩] জ্যাক ওয়েলচের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তার আমলে জিই-র শেয়ারের দাম ৪০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান কোম্পানির তকমা পায় তারা। চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে কর্পোরেট নেতাদের গুরু হয়ে ওঠেন জ্যাক ওয়েলচ। লেখেন একাধিক বই। পাশাপাশি বেশ কিছু বিখ্যাত কোম্পানির পরামর্শদাতার ভূমিকাতেও তাকে দেখা গিয়েছিল।
[৪] এক সময় শুধুমাত্র অ্যাপলিয়্যান্স এবং বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরি করত জিই। ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং কারিশমায় এমন একটা কোম্পানিকে তিলে তিলে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প এবং অর্থনৈতিক পরিষেবা সংস্থায় পরিণত করেন জ্যাক ওয়েলচ। তার আমলে জিই-র আয় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পায়। আর সংস্থার বাজারমূল্য বাড়ে ৩০ গুণ। ১৯৯৯ সালে বিখ্যাত ফরচুন ম্যাগাজিন জ্যাক ওয়েলচকে 'শতকের সেরা ম্যানেজার' আখ্যা দিয়েছিল।
[৫] ওয়েলচের মতো সেরা কর্পোরেট নেতা খুব কমই আছেন বলে ট্রাম্প তার ট্যুইটে উল্লেখ করেছেন। স্বজনহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জ্সিই-র বস হিসেবে অবসরের পরে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন জ্যাক ওয়েলচ। ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বই 'Jack: Straight From the Gut' আমেরিকায় সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তকমা পায়।
আপনার মতামত লিখুন :