রাশিদ রিয়াজ : [২] মহারাষ্ট্রের মোট ৬ জেলায় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা সর্বাধিক। মূলত ব্যাংক ঋণ শোধ করতে না পারা ও শস্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়া মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যার প্রধান কারণ। কৃষকদের উন্নয়নে সম্প্রতি রাজ্যের জোট সরকার কৃষি ঋণমওকুফ প্রকল্প শুরু করেছে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২ হাজার কৃষক আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র নাগপুর এবং অমরাবতী রাজস্ব বিভাগের অন্তর্গত ১১টি জেলায় ১,২৮৬ জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। অন্নদাতাদের করুণ অবস্থার ছবি ধরা পড়েছে খোদ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত সে রাজ্যের ১৪,৫৯১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। রাজ্যের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেতিয়ার একথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের শুধুমাত্র নাগপুর এবং অমরাবতী রাজস্ব বিভাগের অন্তর্গত ১১টি জেলায় ২০১৯ সালে ১,২৮৬ জন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদিন বিধান পরিষদে কংগ্রেস সদস্য শরদ রণপিসের এক প্রশ্নের জবাবে বিজয় ওয়াদেতিয়ার এই তথ্য জানান।
[৩] তিনি বলেন, আত্মহত্যার ৫,৪৩০টি ক্ষেত্রে সরকারের তরফে কোনও সহায়তা করা হয়নি। এ ছাড়া ২১৪টি মামলায় তদন্ত বাকি আছে।' মহারাষ্ট্রের যে ছয় জেলায় সর্বাধিক কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছেন।
কিন্তু পরিস্থিতির গভীরতার নিরিখে কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নে শুধু ঋণ মওকুফ যথেষ্ট নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :