শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২০, ১২:১৭ দুপুর
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২০, ১২:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিশ্ব জুড়ে বেড়েছে ফেস মাস্কের চাহিদা ও সংকট

মাজহারুল ইসলাম : [২] চীনের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে। যেহেতু চিকিৎসক-নার্সদের মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যকীয়। তাই এ অবস্থা চলতে থাকলে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চরম বিপাকে পড়তে হবে।

[৩] গত মাসে নিউ ইয়র্ক সিটির একটি দোকান ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দরজার বাইরে কাগজের সাইন বোর্ডে লেখা ছিল আজ যে কোনো ক্রেতা বিনামূল্যে একটি করে মাস্ক পাবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পুরো পালটে যায়। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসে নিউ ইয়র্কে প্রথম আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর পর মাস্কের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মানুষ। এতে সেখানে চরমভাবে মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মাস্কের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে অধিকাংশ দেশে। চাহিদা বাড়ায় অনলাইন কেনাবেচার সাইটে একটি মাস্ক বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার টাকায়।

[৪] বিশ্ব জুড়ে ফেস মাস্ক ঘাটতির কারণে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন চীনের শেনজেন-এ মাস্ক তৈরির জন্য একটি আলাদা কারখানা স্থাপন করেছে। এ থেকে মাস্কের চাহিদা আন্দাজ করা যায়। হংকংয়ে ফার্মেসিগুলোয় দেখা গেছে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মাস্ক কিনছেন মানুষ। মাস্কের চাহিদা এত বেড়েছে যে, কিছু ফার্মেসি ক্রেতাদের কাছে বিক্রিযোগ্য মাস্কের সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছে। একজনের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে না। ফিলিপাইনে সরকারি উদ্যোগে হাইস্কুল ও কলেজগুলোয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানকার বাজারে মাস্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, ম্যানিলা, পাগাদিয়ান সিটি ও বুকিদননের মতো শহরগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত মাস্ক। থাইল্যান্ড মাস্ক রপ্তানি সীমিত করে দিয়েছে। ফ্রান্সে রেসপাইরেটরি মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কলমি হোপেন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় উৎপাদন ৪ থেকে ৫ গুণ বাড়িয়েছে। ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মী খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি। ৯৬ শতাংশ ফার্মেসিতে সার্জিক্যাল মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে।

[৫] বিবিসি জানায়, চীনের বাইরে এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। ইরানে ৫৪ জন, ইতালিতে ৩৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬ জন, জাপানে ১২ জন, হংকং, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে ২ জন করে এবং ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে একজন মনে মারা গেছেন করোনা ভাইরাসে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়