মাজহারুল ইসলাম : [২] এরপর পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যে দিনাজপুরসহ একাধিক জেলায় পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। রাজধানীর বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। কয়েক দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে ভোক্তারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ খেকে ৩০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
[৩] রাজধানীর শ্যামবাজারের পেঁয়াজ একজন আমদানিকারক জানান, সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ভিড়তে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় এরইমধ্যে পেঁয়াজের দামও কমেছে।
ভারতের ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের একটি সূত্র জানায়, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের পেঁয়াজ রপ্তানি করতে অনুরোধ করেছে। এরই ভিত্তিতে ২০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
[৪] এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের খাদ্য ও ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী এক টুইট বার্তায় জানান, যেহেতু পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল এবং প্রচুর উৎপাদিত হয়েছে, তাই সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৫] উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি মূল্য দ্বিগুণ করে প্রতি টন ৮’শ ৫০ ডলার করার পর পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে। ২৯ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এক দিনের মধ্যে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১’শ টাকা হয়ে যায়। এরপর অক্টোবরে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। ওই মাসের শেষভাগে মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম ফের ১০০ টাকার কাছাকাছি নিয়ে এলেও ৯ নভেম্বর পর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে রাজধানীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০০ টাকা। তারপরই বাজার সামাল দিতে চীন, মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :