সুজন কৈরী : [২] রোববার রাত ১২ টা থেকে সোমবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসার, মিরেশ্বর তারার বাড়ী থেকে নাজিমুদ্দিন ও মুক্তারপুরের জাল কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
[৩] অভিযানকালে ২০৪ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার মিটার নীল রঙের নেট জাল, ৪ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকার ৪ লাখ ২২ হাজার ৬০০টি কারেন্ট জাল তৈরির ববিন, ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ৬টি জাল পেঁচানো লোহার রোল জব্দ করা হয়।
[৪] এছাড়া অভিযানকালে ৮৮ বস্তায় থাকা ২৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৭ লাখ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মৎস্যরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে মুন্সিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
[৫] এদিকে নৌ পুলিশের ১৩টি থানা/ফাঁড়ি সোমবার অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকার ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট ও অন্যান্য জাল জব্দ করে। এছাড়া অভিযানকালে ৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ৫১৫ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মৎস্য আইনে একটি মামলা হয়। সেইসঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৪ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৬] জব্দ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছ বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে।
[৭] অভিযান শেষে কারেন্ট জাল তৈরির কারিগর, মালিক ও তদের গডফাদারদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারন করে নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ করুন। না হলে যেকোন মূল্যে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :