শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২০, ০১:২৮ রাত
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২০, ০১:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তেলের মূল্য প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলারে নেমে যাবে আশঙ্কা করছে ওপেক

[২] করোনাভাইরাসের প্রভাবে শিল্পকলকারখানা বন্ধের পাশাপাশি তেলে চাহিদা ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় ব্যারেল প্রতি তেলের দর ৫০ ডলারে নামার পরও এর দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে ওপেক। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভিয়েনায় ওপেক সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে তেলের দর আন্তর্জাতিক বাজারে এক সপ্তাহে ১৩.৬ শতাংশ হ্রাসের বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দর হ্রাস পেয়েছে ১৬.২ শতাংশ। করোনাভাইরারেস প্রকোপ এভাবে চলতে থাকলে তেলের দর ব্যারেলে ৩০ ডলারের নিচে চলে যাবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আরটি/এ্যারাবিয়ান বিজনেস

[৩] ওপেকের পর্যবেক্ষণে বলা হয় করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রথমেই ধাক্কা দিয়েছে গ্যাসোলিন ও জেট ফুয়েলের ওপর। ভ্রমণ এয়ারলাইন্স ব্যবসা পড়ে যাওয়া এধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। এখন উৎপাদন কমিয়ে তেলের দর ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না সে নিয়ে একমত হতে পারছে না ওপেক। সৌদি আরব প্রতিদিন দশ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের জন্যে চাপও দিচ্ছে।

[৪] রাশিয়া ওপেকের সদস্য নয়। তবুও মস্কো তেল উৎপাদনে ওপেকের সঙ্গে সমন্বয়ে রাজি। কুয়েত ও আমিরাতেরও একই মত। আন্তর্জাতিক তেল বাজার বিশ্লেষক গিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, তেল উৎপাদন হ্রাস করতে ওপেক একমত হতে পারলেও তেলের দর নিম্নগামি হওয়ার বিষয়টি ঠেকিয়ে রাখা খুব কঠিন কারণ চাহিদা না থাকলে সরবরাহের কোনো চাপও থাকে না।

[৫] তবে গিওভান্নির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আরেক বিশ্লেষক অসওয়াল্ড ক্লাইন্ট বলেন আগাম এক থেকে দেড় বছরের মাথায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কাছে তেলের চাহিদা ঠিকই বৃদ্ধি পাবে। এ মূহূর্তে ওপেকের উচিত সদস্য দেশগুলোকে বড় ধরনের ভর্তুকি বা বেলআউটের ব্যবস্থা করে দেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়