ফারুক ওয়াসিফ : ভারতীয় সমাজতাত্ত্বিক আশীষ নন্দী দাঙ্গা নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত। নন্দীর প্রথম কথা হচ্ছে, দাঙ্গা শহুরে ব্যাপার। দ্বিতীয়ত, দাঙ্গা সব সময়ই রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত করা হয়, স্বতঃস্ফুর্ত দাঙ্গা বলে কিছু নেই। দাঙ্গার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকবেই। সব দাঙ্গাই ২ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে থামানো যায়। না থামলে ধরে নিতে হবে, ক্ষমতাসীনেরা এর পেছনে-ঠিক যেমনটা ঘটেছিলো অযোধ্যায় ও গুজরাটে (এবং দিল্লিতে)।
(ইন্টারনেট–ফেসবুক আসার পর গ্রাম ও শহরের আর পার্থক্য থাকছে না। গুজব-ছবি-উসকানি খুব দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়, তাই ফেসবুকে থাকা মানেই শহুরে যোগাযোগ জালের মধ্যে ঢুকে পড়া)।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস পরবর্তী দাঙ্গা নিয়ে তিনি জাতিসংঘের অনুদানে একদল গবেষক নিয়ে কাজ করেন। তাদের সেই সরেজমিন গবেষণার ফল একটা বই ‘ক্রিয়েটিং আ ন্যাশনালিটি’। সেই বইয়ের তথ্যের সঙ্গে শুধু দিল্লির নামটা জুড়ে দিলাম। যদিও দিল্লিতে যা হচ্ছে তা দাঙ্গা না, তা রাষ্ট্রীয় মদদে পরিকল্পিত মুসলিম নিধন।
আপনার মতামত লিখুন :