শিমুল মাহমুদ : [২] ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম। আর বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক সংগ্রহ করেছেন প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীক পেয়েছেন নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ডাব প্রতীক। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
[৩] রোববার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ দলের নির্বাচনী প্রতীক সংগ্রহ করেন এই আসনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা।
[৪] প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিন বলেন, এই উপনির্বাচনে নির্ধারিত ২১ জায়গায় পোস্টার টাঙাতে পারবেন প্রার্থীরা। সব রাজনৈতিক দল সুবিধামতো জায়গায় পাঁচটি করে পথসভা করতে পারবে। এ ছাড়া নির্ধারিত জায়গায় ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো যাবে। আর নির্বাচনের পোস্টার ও ব্যানার স্থাপনের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত পাঁচটি বিলবোর্ডে প্রার্থীর প্রতীক, ছবি ও নাম আলাদা করে দেওয়া থাকবে। নির্বাচনী প্রচারে যেখানে একদল পথসভা করবে, সেখানে আরেক দল করতে পারবে না। জনসভা করা যাবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্পে মাইক ব্যবহার করা যাবে। এর বাইরে একেবারেই মাইক বাজাতে পারবেন না। এর বাইরে কোথাও বা রাস্তা, অলিগলিতে পোস্টার টাঙাতে পারবেন না। আর ল্যামিনেটেড ও প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার টাঙাতে পারবেন না।
প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১ বছর ধরে সাংসদ থাকা শেখ ফজলে নূর তাপস এলাকাবাসীর জন্য কাজ করেছেন। তিনি যেখানে কাজ শেষ করেছেন, সেখান থেকেই শুরু করতে চাই।
[৫] বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়েছে। একসময় তারা হয়তো বলবে, দেশ খুব উন্নত হলে নির্বাচন লাগে না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :