ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বরাদ্দ ছিল পাপিয়ার জন্য। সেখানে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সময় কাটাতেন পাপিয়া। হোটেল ওয়েস্টিনে অবস্থানকালে কারা কারা পাপিয়ার কাছে যেতেন, তাদের নাম হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
[৩] ডিবি সূূত্র জানায়, হোটেলে অবস্থানের সময় পাপিয়া কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন বা তার কাছে কারা কারা আসতেন, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিসি ফুটেজসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই হোটেলে তিনি কীভাবে বিল দিতেন, তার ক্যাশ মেমোও চাওয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে চাননা হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরিপয়া গ্রেপ্তারের পর থেকে ওই হোটেলে আপাতত ককটেল পাির্ট বন্ধ রয়েছে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি।
[৪] র্যাব সূত্র জানায়, পাঁচ তারকা ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট, যার প্রতিরাতের ভাড়া ২ হাজার ডলারের মতো, ভাড়া করে পাপিয়া যৌনবাণিজ্য চালাতেন। ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে কয়েক মাস ধরে বুক করে অবৈধ নারী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন পাপিয়া। গত তিন মাসে শুধু ওই হোটেলেই পাপিয়া বিল দিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। হোটেলটির বারে তিনি প্রতিদিন বিল দিতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
[৫] পাপিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওয়েস্টিনের মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক সাদমান সালাহউদ্দিন জানান, উনি (পাপিয়া) আমাদের স্যুট নিয়েছিলেন। এটা বিশাল আকারের তো, গেস্টরা সেখানে ছিলেন। তিনি কাদেরকে নিয়ে সেখানে অবস্থান করেছেন কিংবা কতজন ছিলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাবলিকলি প্রকাশ করা হোটেলের নিয়ম পরিপন্থী।
[৬] ২৩ তলাবিশিষ্ট ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেলের লেভেল-২২ এ ১ হাজার ৪১১ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। সেখানে অতিথিদের সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করতেন পাপিয়া। এরপর পছন্দ অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট তরুণীকে নিয়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতেন ভিআইপিরা। বাংলাদেশে প্রথম অনলাইনভিত্তিক যৌন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম ‘এসকর্ট’ গড়ে তোলেন পাপিয়া। এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুন্দরী তরুণী সরবরাহ করা হতো।
আপনার মতামত লিখুন :