[২] দেবদুলাল মুন্না: একাত্তর সালের আজকের দিনে ঢাকা ছিলো হরতালের নগরী, মিছিলের নগরী এবং কারফিউর নগরী। সচিবালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা উড়ানো হয় প্রথম।
[৩] রাজনীতিবিদ ও জাসদ একাংশের নেতা আ স ম রব বাংলা নিউজকে জানান, জাতীয় পতাকার নকশা করেছিলেন প্রথম শিবনারায়ণ দাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের একটি কক্ষে খুব সতর্কতার সাথে পতাকার নকশা চূড়ান্ত করেন ছাত্রনেতারা। পরে পতাকার নকশা থেকে মানচিত্র বাদ দেওয়া হয়।
[৪] এবিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আফসান চৌধুরী রোবাবার ‘আমাদের নতুন সময়’কে বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পরও শিব নারায়ণের নাম অনেকেই জানেন না। মূল্যায়ন নেই। এটি দু:খজনক। অভিমানে তিনি আড়ালে চলে গেছেন। অথচ তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ছাত্রলীগ করতেন। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।’
[৫] ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে আয়োজিত ‘চতুর্থ জাতীয় পতাকা উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন সর্বশেষ শিব নারায়ণ দাশ। তখন বলেন,‘ সত্য বলার সৎসাহস হারিয়ে ফেলেছেন আপনারা।’
[৬] ২০১৯ সালে ইউটিউবে লিংক বাংলা নামের একটি চ্যানেল ও এবছর মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ট্রাস্ট নামের অন্য ইউটিউব চ্যানেলকে শিবনারায়ণ দাশ বলেন,‘আমি সাধারণ মানুষ। আমার মুল্যায়ন করার কি আছে? এদেশের সাধারণ মানুষও তো যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তাদের কি মুল্যায়ন হয়?’ আমি এমন বাস্তবতা মেনে নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :