জেবা আফরোজ : [২] পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের মধ্যে জনপ্রিয় খাবার মিষ্টিআলু (সুইট পটেটো)। মিষ্টি আলুর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন কার্বোহাইড্রেট চাহিদা পূরণ সক্ষম। ১৩ বছর গবেষণার পর মিষ্টি আলুর নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক। মিষ্টি আলুর নতুন একটি জাতের অনুমোদন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত জাতীয় বীজ বোর্ড। গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘পার্পল স্টার’। ভোরের কাগজ/ সময়ের আলো/ সারা বাংলা
[৩] মিষ্টি আলুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মিষ্টি আলু একটি জনপ্রিয় মৌসুমি খাবার।পার্পল স্টার একটি উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি আলুর জাত। গায়ের রং বেগুনি থেকেই মূলত এর নামকরণ।
[৪] প্রতি হেক্টরে এর ফলন প্রায় ৪৮-৫০ টন। যা প্রচলিত জাতগুলোর তুলনায় ৫-৮ টন বেশি। এই জাতের প্রতিটি আলুর ওজন ১২০-১৩০ গ্রাম। সাধারণ সাদা আলুর থেকে এর মিষ্টতা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
[৫] গবেষক দলের প্রধান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, পার্পল স্টার একটি উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি আলুর জাত। আমাদের দেশে প্রচলিত জাতগুলোর তুলনায় এর পুষ্টিমান অনেক বেশি এবং এই আলু খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। এই আলু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সহায়তায় এই আলু কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
[৬] গবেষকেরা বলেন, ‘পার্পল স্টার’ সাধারণত বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে ভালো হয়। সাদা আলুর তুলনায় এই আলুর বাজার মূল্য বেশি বলে কৃষক বেশি লাভবান হবেন। এই আলু চাষে বিশেষ কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।