শিরোনাম
◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০২০, ০৭:০০ সকাল
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০২০, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সব কিছু ছাপিয়ে নরেন্দ্র মোদীই কেন একমাত্র ইস্যু?

 

ফারুক আস্তানা :  সব কিছু ছাপিয়ে মোদী একমাত্র ইস্যু কেন? মানুষের উচিত সরকার রাজনীতিবিদের সন্দেহ চোখে দেখা। তাদের পিছু নেওয়া। লেগে থাকার সাহস ধৈর্য অর্জন করা। জাতি ২৫ ফেব্রুয়ারি মতো একটা তাৎপর্যময় দিনকে অপব্যবহার করেছে। অপচয় করেছে। যুবনেত্রী পাপিয়াকে নিয়ে ঠাট্টা মশকারায়। আর অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিনে পাবলিক ব্যস্ত মোদীকে নিয়ে। জাতি কী চোর পাহারা দিতে গিয়ে ডাকাতকে সুযোগ করে দিলো। ধরে নিলাম মোদী আসলো বক্তব্য দিলো তাতে কী আমাদের মধ্যে কোনো রকম প্রভাব ফেলবে। পরিবর্তন আসবে জীবন চিত্রে। আদর্শ বা বোধশক্তির জায়গা থেকে। মোদীও টলাতে পারবেন না। বাংলাদেশি জাতির অপরিপক্বতার জায়গা থেকে। মোদীর দুষ্টমি বা শয়তানি থেকে মানবে মানবে সমাজে সমাজে ধর্ম ধর্মে শত্রু খেলা। দেশের মানুষ বুঝতে পারছে। ধরতে পারছে তা মন্দ।

সমাজ দেশ জনগোষ্ঠীর জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তা দেখে কী আজকে যারা মোদীকে ঢাকায় চাইছে না তারা কী তার বিপরীত অর্থাৎ মোদী উল্টো দিক। যেগুলো দেশ ও মানব সমাজের দরকার মঙ্গলকর তা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করবে বা করাবে। দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার নেই। সেবামূলক সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির দিকে ঝুঁকে আছে। হাসপাতালগুলোতে নাগরিকরা যথাযথ চিকিৎসা পায় না। ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নেই। রাস্তাঘাটে কোথাও স্বস্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। সড়কে যানজট। কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। জ্যামে পড়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শহরের মানব বাস করার মতো আবহাওয়া নেই।

রাজনীতিবিদরা হয়ে গেছে ব্যক্তির চাকরবাকর। দেশের টাকা ব্যাংকসহ হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। যখন তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়াছে। সরকারি দলের জনশক্তি সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। চেপে বসেছে। নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গরিব মানুষ থানা পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারছে না। সামাজিক বিচার আদালতে টাকা ও ক্ষমতার কাছে টিকছে না। অধিকার নেই, চেহারা দেখে বিচার পাওয়া না পাওয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও যদি শুধু মোদী একমাত্র ইস্যু হয় তাতে খটকা লাগে, আছে। কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীদের দেখলাম যারা কিছু হলেই বিভিন্ন সময়ে ... হুমকি ধমকি শুরু করে দেয়। আবার শান্ত হয়ে যায়। দিল্লি ইস্যুতেও তাদের একই কথা ও কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের সস্তা আবেগ জয় করার কৌশল নিয়ে তারা পল্টন জাতীয় মসজিদে তরুণ বাচ্চা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি তাদের মতাদর্শের মানুষের ধর্ম আবেগকে কাজে লাগিয়ে। একটা ব্যবসা সাজিয়ে বসছে এবং এটা তারা করে যাচ্ছে। বলছি না।

দিল্লির ঘটনা প্রতিবাদ করা যাবে না। কিন্তু যখন সৌদি আরবে গৃহশ্রমিকরা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে। তখন ওই পল্টন জাতীয় মসজিদকেন্দ্রিক গোষ্ঠীগুলো প্রতিবাদ করে না কেন? তাদের সৌদ ভাইদের কেন জিঘাংসা করে না। যে কেন তারা মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করে। বেতন দেয় না। খেতে চাইলে মারধর করে। এটা কী তারা করতে পারবে? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে স্থানীয় শাসকগোষ্ঠী বা ভিনদেশিদের ধারায় সাধারণ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষ অবিচার, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে। সে সব নিয়ে আমরা বলতে পারি বা পারছি। মোদীকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেখতে চায় না। এটা ছিলো প্রথম কিছু তরুণের দাবি ও ইচ্ছা। এই দাবি এখন অনেক মানুষের দাবি হয়ে উঠেছে। তবে তারা যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিকভাবে শোআপ হওয়ার জন্য। এই দাবিতে তারা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকবে না। তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত ইস্যুতেও নীরব ভূমিকা পালনকারীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে তরুণ সমাজ এ সময় বেশি দূরে নয়। ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ইস্যু হয়ে আসছে এবং এটা চর্চায় থাকবে। রাজনীতিবিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়