আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] চুক্তি হলেও তালেবানদের সঙ্গে আফগান সরকারের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তালেবান জানিয়েছে তারা আল কায়েদার মতো কোনও স্বশস্ত্র গ্রুপকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করতে দেবে না। আল জাজিরা, সিএএনএন, বিবিসি
[৩] বেশ কয়েক বছরের আলোচনার পর কাতারের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষর হলো এই ঐতিহাসিক চুক্তি।
[৪] চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে স্বাক্ষর করেন আফগানিস্থানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জালমে খালিদজাদ। আর তালেবানদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার।
[৫] তালেবানরা জানিয়েছে, তারা ৯০ দশকের কঠিন শাসন নীতি থেকে সরে এসেছে। তারা এবার থেকে মূলধারার রাজনীতিতে ফেরত আসার জন্য কাজ করবে।
[৬] ২০১১ সাল থেকে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতা করে আসছিলো কাতার। ২০১৩ সালে তারা নিজ দেশে তালেবানদের একটি অফিস প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়। অবশ্য পতাকা বিতর্কে সেবছরই এটি বন্ধ হয়ে যায় এবং আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।
[৭] ৩৯টি ন্যাটো দেশের প্রায় ১৭ হাজার সেনা মোতায়েন আছে আফগানিস্থানে। এরমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই জানিয়েছিলেন, তিনি দেশটি থেকে সেনা কমিয়ে আনতে চান।
[৮] কাতারের দোহায় এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ২০০১ সালে শুরু হওয়া আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি হবে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
[৯] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি নিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ সমাপ্ত করে সৈনিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে।’ এর ফলে আমাদের জনগণকে দেশে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।
[১০] ট্রাম্প বলেন ৫,০০০ মার্কিন সেনা মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করবে।
[১১] ট্রাম্প বলেন, চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।এই চুক্তির আওতায় আল-কায়েদা বা অন্য কোনও উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে কাজ করতে দেয়া হবে না।
[১২] ট্রাম্প বলেন, জঙ্গিরা ঐতিহাসিক এই চুক্তিটি সমর্থন করলে ১৪ মাসের মধ্যে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নাটোর মিত্ররা।
[১৩] খুব দ্রুতই তালেবান নেতাদের সাথে সাক্ষাত করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
[১৪] এই চুক্তিতে স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইক পম্পেও।
আপনার মতামত লিখুন :