সাইফুর রহমান : [২] সম্প্রতি সিরিয়ায় এক বিমান হামলায় ৩৩জন তুর্কি সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান আঙ্কারায় এক উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। সিরিয়ায় ২০০টি লক্ষবস্তুতে তুর্কি সেনাবাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় ৫টি হেলিকপ্টার, ২৩টি ট্যাংক, ২৩টি হাওইটজার ও দু’টি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি ৩০৯ সিরিয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও দাবি করে তুরস্ক। বিবিসি
[৩] গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিব প্রদেশ পুনর্দখলের জন্য রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে ব্যাপক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই প্রদেশটির সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের সর্বশেষ ঘাঁটি, যেখানে তুরস্ক সমর্থিত একাধিক সিরিয় বিদ্রোহী ও আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী রয়েছে।
[৪] ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার একটিই কারণ, তা হলো তুরস্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম সদস্য। অন্যদিকে অপর পরাশক্তি রাশিয়া হলো সিরিয়ার বাশার সরকারের মিত্র। তাই তুরস্ক আক্রান্ত হলে ইদলিবে পরাশক্তিগুলো মুখোমুখি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে কি না এমন আশঙ্কাও বাড়ছে।
[৫] ইউরোপিয় ইউনিয়নের শীর্ষ ক‚টনীতিক জোসেফ বোরেলও বলছেন, সিরিয়ায় একটি বড় ধরণের সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সমর বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়া মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ বাশার আসাদ চাইছেন তিনি সিরিয়ার পুরো ভূখন্ডের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ পুনপ্রতিষ্ঠা করবেন এবং এ কাজে রাশিয়া তাকে বরাবর সাহায্য করে চলেছে। সর্বশেষ তথ্যমতে ক্রুজ মিসাইল সজ্জিত দু’টি রাশিয়ান ফ্রিগেট এখন বসফরাস প্রণালী পার হয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :