লাইজুল ইসলাম: [২] মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অযৌক্তিক ভাবে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। পানির দাম বাড়ানোর কোনো কারণই নেই।
[৩] ইসমাইল বলেন, আমাদের দেশে মানুষের চিন্তা সরকার করে না। তারা শুধু নিজেদের চিন্তাই করে। সমন্বয় করতে গিয়ে কত বড় বোঝা চাপানো হলো তা কি সরকার বোঝে?
[৪] মোহম্মদ দাউদ বলেন, মানুষের মনে শান্তি নেই। আমাদের মনেও শান্তি নেই। পেঁয়াজ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটে গেলো । এরপর বাড়ানো হলো তেলের দাম। চালের দাম তো প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে।
[৫] এমন অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো মানে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’। এখন আবার এক ধাপ বাড়বে সব ধরনের ভোগ্যপন্যের মূল্যে। এতেই সরকার খুশি। বিভিন্ন ভাবে মানুষের মনের ভেতরে যে যন্ত্রণা তৈরি হচ্ছে তা আরো বাড়ছে এসব কাণ্ড।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক তৌহিদ হক বলেন, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধি মানুষের মনের ভেতর কিছুটা সমালোচণার সৃষ্টি করবে। যা সরকারের জন্য নেতিবাচক। এতে সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে তা ধামাচাপা পরে যাবে। তাই সরকারের এসব ক্ষেত্রে আরো চিন্তা করা উচিত।
[৭] সমাজ বিশ্লেষক তৌহিদ হক আরো বলেন, এমনিতেই ভোগ্যপন্যের উর্দ্ধগতিতে মানুষের জীবন যাত্রার মান নিম্নমুখী। এ অবস্থায় দাম বৃদ্ধিতে মানুষ হিমসীম খেয়ে যায়। বেতনের সঙ্গে এর সামঞ্চষ্য করা কঠিন হয়ে পরবে। মানুষের ভেতর যেসব না পাওয়া রয়েছে সেসবের হাহাকার আরো তীব্র হয়ে উঠবে।
[৮] তিনি মনে করেন, দাম না বাড়ানোই ভালো। সরকারের কোনো সিদ্ধান্তই যাতে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর আঘাত না করে সেদিকে চিন্তা করতে হবে। ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো গেলেও সমস্যার অনেক খানি সমাধান আনা সম্ভব বলে ধারণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
আপনার মতামত লিখুন :