এম মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : [২] ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বছরের দুই মাসে ২৮ জনের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দুই মাসের এই রেকর্ড উদ্বেগজনক বলে অনেকেই মনে করছেন।
[৪] তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ১৪ জন ও ফেব্রয়ারি মাসে ১৪ জন নারী ও শিশু ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। জেলার বিভিন্ন থানা ও আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিকটিমদের ডাক্তারি পরীক্ষা করায়।
[৫] এরমধ্যে কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও শৈলকুপায় ৬ জন করে মোট ১৮ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় দুই মাসে। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৩ জন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৪ জন ও মহেশপুর উপজেলায় ৩ জন ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।
[৬] হাসপাতালের অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার নারীরা ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আসেন। সবার পরীক্ষা যে পজেটিভ আসে তা কিন্তু না। অনেক সময় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়েও মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়া হয়।
[৭] তিনি আরও বলেন, অনেক সময় ছেলে মেয়ে প্রেম করে ঘর ছাড়া হয়। পিতামাতা ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এখন বেশির ভাগই এমন কেসগুলো আসে। সত্য মিথ্যা যাই হোক পরীক্ষা করে আমরা রিপোর্ট যথাস্থানে পৌঁছে দিই। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণ মামলায় কাউকে ছাড় নেই। ইতিমধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করতে সক্ষম হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :