শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ দেখতে পাই না। কারণ, সে পথের সন্ধান আমরা করি নাই। তাই এখনো আমরা পথ খুঁজছি। তার মুক্তির পথ প্রেসক্লাব চত্বর আর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট বদ্ধ ঘরে নয়। তিনিসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির একটায় পথ, তার নাম রাজপথ। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, রাজপথের ঠিকানা আমরা জানি কি জানি না সেটা আমাদেরকেই প্রশ্ন করে বের করতে হবে। অতীতে যদি রাজপথ চিনে থাকি তাহলে ভুলে যাওয়ার কথা নয়। অতীতে রাজপথে থাকার যে সাহসিকতা ছিলো সে সাহসকে পুনর্জীবিত করা হবে।
[৪] গয়েশ্বর বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে সবসময় যদি তাদের অনুমতি সাপেক্ষে আন্দোলন করেন সেখানে সরকার তো নিরাপদে থাকবে সেটায় স্বাভাবিক। সরকারের ক্ষতি হবে, পতন হবে আর সরকার বলবে আপনি আন্দোলনটা করেন সেটা কি হয়।
[৫] বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতভাগ ইচ্ছা পূরন করার জন্য আদালত সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছে, এটা পরিষ্কার। এটা প্রমাণ করার দরকার নাই। এটা মানুষের বিশ্বাস। আর মানুষের বিশ্বাস আইনের চেয়ে শক্তিশালী।
[৬] খালেদা জিয়ার অ্যাডভান্স ট্রিটম্যান্ট প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, যে চিকিৎসা দিলে আমার ক্ষতি হতে পারে এবং সেই ক্ষতি পূরণ হওয়ার ব্যবস্থা যেখানে নেই সেখানে চিকিৎসার জন্য আমি সম্মতি দিব কেন?
[৭] তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে ও সাদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমানের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, কৃষকদল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া মোঃ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :