শিমুল মাহমুদ: [২] খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার ধাপ হিসেবে আর্থ্রাইটিস ও ব্যাক পেইন জন্য মেডিসিন পুশ করা দরকার। যেটি রোগী হিসেবে ডাক্তারদেরকে দেননি তিনি। এ বিষয়ে তাকে একাধিকবার ব্রিফ করা হলেও তিনি আস্থা রাখছেন না চিকিৎসকদের প্রতি। এমনটায় জানিয়েছেন মেডিকেলে বোর্ড প্রধান।
[৩] খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জিলন মিয়া সরকার বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য নতুন চিকিৎসক বোর্ডে অন্তভুক্ত করার কথা আমি জানি না। আমরা আগেই বলেছি প্রয়োজনে তিনি বিদেশী চিকিৎসক যুক্ত করতে পারেন। উনি চাইলে সর্বাধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। তিনি বলেন, অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টে তিনি কেনো রাজি হচ্ছেনা সেটা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা একাধিকবার উনাকে বুঝিয়েছি।
[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বেগম জিয়া আমাদের সম্মানিত রোগী। উনার দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেটা দায়িত্বশীলতার সাথেই করছি। এখন নতুন করে যদি চিকিৎসক যুক্ত করতে হয় সেটা মেডিকেল বোর্ড বলতে পারবে।
[৫] মেডিকেল বোর্ডর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল চৌধূরী বলেন, এখন যারা মেডিকেল বোর্ডে আছেন তারা খুবেই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। নতুন করে চিকিৎসক যুক্ত করা আমার মনে হয় না এ মুহূর্তে সেটা প্রয়োজন আছে। এছাড়া প্রফেসর সৈয়দ আতিকুল হক তিনি আর্ন্তজাতিকভাবে খ্যাত রিউমাটোলজিস্ট। সুতরাং এ বোর্ডে আর কোনো লোকের প্রয়োজন নাই।
[৬] তিনি বলেন, বর্তমান মেডিকেল বোর্ড বা আমরা যে চিকিৎসা দিতে চেয়েছিলাম সেটাই অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট। ‘ডিএমআরডি’ এক ধরনের ঔষধ যেটা দিলে আর্থ্রাইটিস অসুখটা অনেকাংশে ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এর খুব বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। এছাড়া এ অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য টিকা দিতে হয়। সেটা দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। টিকা দেওয়া অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য নিরাপদ।
[৭] ডা. আব্দুল জলিল চৌধূরী আরো বলেন, তিনি যে অসুস্থ এতে কারো কোনো সন্দেহ নাই। উনি যেহেতু অ্যাডভান্স চিকিৎসা নিচ্ছেন না সুতরাং দিনদিন এমন হওয়ারি তো কথা। যেহেতু উনার কোনো একটিভিটি নাই, সারাদিন শুয়ে-বসে থাকেন। সুতরাং রোগ ব্যাধি তো বাড়ার সম্ভাবনা থাকেই। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :