শাহীন খন্দকার : [২] ক্যান্সারে দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে । নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরই রয়েছে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আধিক্য। ডা. রাসকিন বলেন, জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন প্রায় ৫ কোটি নারী। অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক, বাল্যবিবাহ, ধূমপান বা তামাক সেবন, অধিক সন্তান প্রসবসহ সাতটি কারণে জরায়ু ক্যান্সার হয়ে থাকে।
[৩] অনিয়মিত ও অধিক সময় ধরে রক্ত স্রাব, কারণ ছাড়াই জরায়ু থেকে রক্তপাত, সঙ্গমের সময় রক্তপাত, তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এর যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
[৪] ডা. রাসকিন জানান, জরায়ু ক্যান্সার এমন একটি ক্যান্সার যা নিরাময়যোগ্য। যখন সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তখনই এর উপস্থিতি নির্ণয় ও নিরাময় করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
[৫] বছরে একবার জরায়ু পরীক্ষার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করে এ রোগের হাত থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে। গবেষণার ফলাফলে প্রকাশ-সঠিক সময়ে জরায়ু ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্ণয় করতে পারলে তা নিরাময়যোগ্য।
[৬] গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক ড. মোজাহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, খাগড়াছড়ি, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর জেলার প্রায় সহস্রাধিক নারী ও যৌনকর্মীদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রায় ১১ শতাংশ গ্রামীণ নারী এবং ৩১ শতাংশ যৌনকর্মী জরায়ু ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্যাপিলোমা ভাইরাস বহন করে। ভাইরাস বহনকারী এসব নারীদের আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সুস্থ মনে হলেও যে কোনো সময় তারা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। সম্প্রতি চীনের বেজিংয়ে এশিয়া-ওশেনিয়া রিসার্চ অর্গানাইজেশন আয়োজিত‘জেনিটাল ইনফেকশেন অ্যান্ড নিওপাশিয়া’ বিষয়ের ওপর ষষ্ঠ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশের জরায়ু ক্যান্সারের ওপর এ গবেষণাটি পোস্টার আকারে প্রদর্শন করা হয়।
[৭] সম্মেলনে প্রদর্শিত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৫টি অংশ গ্রহণকারী দলের ৩৫টি পোস্টারের মধ্যে বাংলাদেশী গবেষকদের এই পোস্টারটি প্রথম স্থান লাভ করে।
#