তিমির চক্রবর্ত্তী : [২] বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার শেষ দিন বইমেলার দ্বার খুলবে সকাল ১১টায়। দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে শিশুপ্রহর। মেলার পর্দা নামবে রাত নয়টায়। ঢাকা টাইমস, যুগান্তর, পূর্বপশ্চিম
[৩] এবারের বইমেলা একটা তৃপ্তি নিয়েই শেষ হচ্ছে বলা যায়। অন্যবারের চেয়ে এবারের বইমেলার আয়োজনে ছিল বৈচিত্র-ভরা। সুপরিসর, নান্দনিক এবং গোছানো। বড় পরিসরে স্টল ও প্যাভেলিয়ন সাজানো হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী ও একাডেমি চত্বর। ফলে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরেফিরে বই কিনেছেন। উপভোগ করেছেন মেলা। কবি-সাহিত্যিকরা মেতেছিলেন সাহিত্য আড্ডায়।
[৪] বাংালা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, এবার বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশী বই বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মেলায় বইপ্রেমিদের উপস্থিতি বেশী এবং বিক্রিও হয়েছে আশানুরূপ। ক্রেতাদের সামলে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুসরত ছিল না।
[৪] গতকাল ছিল বইমেলার শেষ শুক্রবার। মেলা শুরু হয়েছিল বেলা ১১টায়। দুপুর একটা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এই সময়টাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুচত্বরে হালুম, ইকরি আর শিকুদের দেখতে শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসের জোয়ার লেগেছিল। দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মেলায় লোকসমাগম কিছুটা কম ছিল। জুমার নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজে ব্যস্ত ছিলেন বইয়ের ক্রেতারা।
[৫] বাবুই প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাদের বাবু বলেন, এবারই প্রথম মেলায় অনেকটা জায়গা নিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে শিশুচত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাজানো হয়েছিল। ফলে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে শিশু-কিশোররা আনন্দে মেতেছিল।
[৬] উদীচীর প্রকাশনা সম্পাদক রহমান মুফিজ বলেন, এবারের মেলায় তরুণদের বই আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে। একই কথা বললেন কবি গিরীশ গৈরিক। তিনি বলেন, তরুণদের ভাবনা জানতে এবং সমকালীন সাহিত্য সম্পর্কে মানুষ তরুণদের লেখা পড়ছেন। তাদের সাদরে গ্রহণ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :