শিরোনাম
◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যারা মরছে আর যারা মারছে উভয়ের ধর্মীয় পরিচয়ই মুখ্য হয়ে উঠছে

শুভদীপ চন্দ : এটা স্পষ্ট ভারতে যা হচ্ছে তা নৈরাজ্য। যে দিল্লি মুসলিম শাসকদের হাত ধরে তৈরি সে দিল্লি রক্তাক্ত। পড়লাম কিছুক্ষণ ঘটনাপুঞ্জি। পুলিশের রহস্যময় নীরবতা, বিজেপি নেতাদের হেট স্পিচ, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠাÑ সব কিছু নির্দেশ করে দিল্লি অসহিষ্ণু। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠের দায়িত্ব সংখ্যালঘুকে সুরক্ষা দেওয়া। তারা কি করলো, কেন করলো, কার অনুভূতিতে আঘাত দিলো এসব অগুরুত্বপূর্ণ। আমরা দুর্ভাগা আমরা মানুষ হিসেবে যতো না পরিচিতি পেয়েছি, ধর্ম দিয়ে তার চেয়ে বেশি পরিচিত হয়েছি। আমাদের বক্তব্যগুলোও আমাদের ধর্ম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। যারা মরছে আর যারা মারছে উভয়ের ধর্মীয় পরিচয়ই মুখ্য হয়ে উঠছে। মানুষ পরিচয় নেই।

তবে এসব তত্ত্বকথার সময় এটা নয়। এ সব তত্ত্বকথা ঘটনার মাত্রাকে লঘু করে দেয়। অদৃশ্য অনেক ফ্রন্ট তৈরি করে। মূল ফোকাস সরিয়ে নেয়। ধর্ম যতোদিন থাকবে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা থাকবে। এটি বাস্তবতা। পূর্ণ ধর্ম মুক্তির আগ পর্যন্ত আমাদের মুক্তি ঘটবে না। কিন্তু তার আগে ধার্মিক জন্তু জানোয়ারদের হাতে সব ছাড়া যাবে না। নিজেদের জায়গা থেকে আমাদের চিৎকার করতে হবে। বুঝে না বুঝে চিৎকার। সিএএ, এনআরসি, ঘটনাপ্রবাহ কিছু জানার দরকার নেই। আগে থামাতে হবে। এ গিরিঙ্গিবাজগুলো চিৎকার ভয় পায়। একটু হলেও পিছু হটবে।

দিল্লি খুব বেশি দূরে নয়। এ উপমহাদেশের প্রতি অলিতে গলিতে দিল্লি লুকিয়ে আছে। কে মার খাচ্ছে, কেন মার খাচ্ছে, কোন দেশ, কি তার অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশÑ না জেনেই চিৎকার করুন। কারণ তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু। এটি সংখ্যাগরিষ্ঠের দায়িত্ব সংখ্যালঘুকে সুরক্ষা দেওয়া। আমি নিজের মতো করে হ্যাশট্যাগ বানালাম। দিল্লি এখন ভয়ংকর জন্তু জানোয়ারদের শহর। হিংস্র মৃত্যুর গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। দিল্লি তুমি আবার মানুষের হও। এ ভয়টা আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। চেনা প্রতিবেশীর অচেনা রূপ। চেনা রাষ্ট্রের অদেখা রূপ। তখন বোঝা যায় মানুষ হিসেবে আমরা কতোটা সমাজনির্ভর। আর কতোটা অসহায়। যে ধর্মের ঈশ্বরই সংখ্যাগরিষ্ঠের ঈশ্বর হোন, তার কাছে প্রার্থনা করিÑ সংখ্যালঘুর এ রকম অভিজ্ঞতা যেন কখনো না হয়। তিনি যেন তার অনুসারীদের সুবুদ্ধি দেন। আর কিছু বলার নেই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়