লাইজুল ইসলমা: [২] কোভিড-১৯ এর কারণে হঠাৎ করেই ওমরা হজ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি গমণ নিষিদ্ধ করেছে দেশেটি। কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে তাও জানা নেই কারো।
[৩] ঢাকা থেকে সৌদি এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমান সরাসরি জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়া গালফ এয়ার, কুয়েত এয়ার, এয়ার অ্যারাবিয়া, সালাম এয়ার, ফ্লাই দুবাই, এমিরেটসসহ ১০ থেকে ১২টি এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
[৪] প্রতিদিন এসব এয়ারলাইন্সে ১২শ থেকে ১৫শ' যাত্রী থাকেন ওমরাহ ভিসার। সে হিসেবে যাত্রীর খরা প্রকট হবে সৌদি আরবের এই নিষেধাজ্ঞার জন্য।
[৫] বাংলাদেশ বিমানের জেদ্দা ও মদিনার ফ্লাইট সবচেয়ে বেশি লোকসানে পড়বে। মার্চ পর্যন্ত সব ফ্লাইটই বুকিং। আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ হাজার যাত্রীর আসন ফাঁকা যাবে এই মাসে।
[৬] এছাড়া, মার্চে আরো দুটি রুটে বিমানের ৪৪ টি ফ্লাইট আছে। কিন্তু ফিরতি ফ্লাইটগুলো পুরো বুকিং থাকায় ফ্লাইট বন্ধ করতে পারবে না সংস্থাটি।
[৭] বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, বিমানের এখন ক্ষতি হবে, কিন্তু ফ্লাইট চালাতে হবে।
[৮] বর্তমানে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতি ফ্লাইটে ৪শ' করে সিট ফাঁকা যাচ্ছে। খুব শিগগিরই এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে এয়ারলাইন্সগুলো।
[৯] এভিয়েশন বিশেষজ্ঞা কাজী ওয়াহেদুল বলেন, ফ্লাইট বাতিল করা যুগোপযুগি সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের। তবে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোরমত বাংলাদেশ বিমানও ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :