শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০৫ সকাল
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছা হয়

 

লিটন নন্দী : মোদীর শাসনামলে ভারতের জিডিপি ক্রম হ্রাসমান, বেকারত্ব কয়েকগুণ বেড়েছে, হাজার হাজার কৃষক ঋণের জালে পড়ে আত্মহত্যা করছে, আয় বৈষম্য অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে, বিদেশি পুঁজির কাছে পরাস্ত হয়ে দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়ছে, পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত বেসরকারি মালিকানায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সব সেবা খাতের বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে। এই সব বঞ্চনা ও বৈষম্যকে আড়াল করতে গেলে দাওয়াই আরও খাঁটি বাংলায় বললে আফিম দরকার। যে আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে জনগণ সব বাস্তবিক সমস্যাকে ভুলে যাবে। আর মোদীর দল এই আফিমকে খুব ভালোভাবে আইডেন্টিফাই করেছে। সত্যিকার অর্থে ভারত নিয়ে স্ট্যাডি বিজেপি ছাড়া আর কোনো দল প্রকৃতভাবে করতে পারেনি।

বিজেপি দেখেছে, ভারতের লোক দেখানো উন্নয়নের আড়ালে বিশাল জনগোষ্ঠী অন্ধকারে নিমজ্জিত। আজকের এই অবস্থানের পেছনে দায় অবশ্য কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সময়ে ভারতের ভাবাদর্শগত উন্নয়নের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কংগ্রেস ভারতকে ইউরোপের খোলস পরাতে চেয়েছে, ভেতরে আদিমতা রেখে। অথচ অধিকাংশ জনগোষ্ঠী মোমবাতির স্বল্প আলোর বাইরে বিশাল অন্ধকারের মাঝে রয়ে গেছে। ঠিক বর্তমানে আওয়ামী লীগ যেমনটা করছে। কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে চায়। কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই বিষয়ে খুব মিল রয়েছে। কংগ্রেসও চাইতো আওয়ামী লীগও চাই মানুষ ছেঁড়া কাঁথায় না শুয়ে কম্বলে ঘুমাক। ছেঁড়া কাঁথায় ঘুমিয়ে আকাশপানে চেয়ে চাঁদের দূরত্ব মাপার চেয়ে কম্বলে ঘুমিয়ে চাঁদে কোনো সাধু বা মোল্লার মুখ দেখুক।

ঠিক এই সুযোগটা নিয়েছে বিজেপি। ভারতের আমজনতাকে ধর্মের আফিম তুলে দিয়েছে। অন্য সব সিন্থেটিক ড্রাগের নেশা ক্ষণিক পর কেটে গেলেও ধর্মতন্ত্রের নেশা কি সহজে কাটে? যুদ্ধ আর সাম্প্রদায়িক ঘৃণাকে পুঁজি করে বিজেপি আজ দু-দুবার ক্ষমতার মসনদে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর কাছে মোদীর এই চাণক্য কৌশল মার খাচ্ছিলো। পর পর ছয়টি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। সর্বশেষ খোদ দিল্লীতে হেরেছে। ফলে মোদী-অমিত শাহের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন ছিলো মাত্রাতিরিক্ত ঘৃণা উৎপাদনের।

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল, বাবরি মসজিদের রায়, এনআরসি, এনপিয়ার, সিএএ বাতিল করে জনতার অজ্ঞতাকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে উদ্যত হলো বিজেপি। পরিকল্পিতভাবে দিল্লিতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপরে দাঙ্গা করে সম্প্রতি দিল্লি হারের ক্ষত ঢাকতে চাচ্ছে বিজেপি। এতো কিছুর পরও যখন দেখি দলিতরা রাত জেগে মুসলিমপাড়া পাহারে দিচ্ছে, বৃন্দা কারাত হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন মুমূর্ষুদের সেবাই, গুরুদুয়ারা খুলে দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের নিরাপত্তার জন্য। তখন ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছা হয়। দিনশেষে ঘৃণা নয়, ভালোবাসাই জয়ী হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়