সাইফুর রহমান: [২] বৃহস্পতিবার দেশটির বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ‘নিংবো ইভনিং নিউজ’ এই তথ্য জানায়। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জেইজিয়াং থেকে পঙ্গপাল এবং কীটপতঙ্গভোজী এক লাখ হাঁসের এই বহর মিত্রদেশ পাকিস্তানে পাঠানো হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। ইয়ন, দি গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোষ্ট
[৩] এর আগে পঙ্গপাল প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে চীনা বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাকিস্তান সফর করে। দু’দশক আগে দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে পঙ্গপাল মোকাবেলায় হাঁস বাহিনী ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিলো চীন।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঁস বাহিনীর ব্যবহার একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনি কীটনাশকের তুলনায় এর খরচও কম। এছাড়া, মুরগির তুলনায় এসব হাঁস প্রায় তিনগুণ বেশি পরিমাণে পঙ্গপাল সাবাড় করতে পারে। একটি মুরগি যেখানে ২৪ ঘণ্টা য় গড়ে ৭০টি পঙ্গপাল খায়, সেখানে এসব হাঁস দিনে ২০০টিরও বেশি পঙ্গপাল খেতে পারে।
[৫] উল্লেখ্য, গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত পঙ্গপালের শিকার হয়ে আসছে পাকিস্তান। ফসল রক্ষায় সম্প্রতি তারা এনিয়ে দেশে জরুরি অবস্থাও জারি করেছিলো। এক পর্যায়ে ভারত থেকে কীটনাশক আমদানির পাশাপাশি ড্রোন মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহারেরও চিন্তাভাবনা করেছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিত্রদেশ চীনের সহযোগিতাই নিচ্ছে পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :