সিরাজুল ইসলাম: [২] তিনি শিশুকালে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ১৯৯০ সালে তালেবান রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে সেই স্বপন ফিকে হয়ে যায়। তারা তার স্বামীকে বন্দি করে। পরে তিনি রাজনীতিক হন। এ সময় তারা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। বিবিসি
[৩] পরে তিনি তালেবানের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেন। তিনিই তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছেন। অথচ এই যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের ক্ষমতাচ্যুত করে।
[৪] ফৌজিয়া বলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী বানানো হয়নি। কাজটি করতে পেরে আমি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আমি আফগানিস্তানের নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছিলাম।
[৫] ফৌজিয়া বলেন, গত বছর মস্কোর একটি হোটেলে তালেবান এবং আফগান সরকারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। এতে ৭০ জন পুুরুষ এবং দুইজন নারী ছিলেন। নারীদের একজন নারী মানবাধিকার কর্মী লাইলা জাফরি। আরেকজন হলেন ফৌজিয়া। আলোচনার সময় তারা ফৌজিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
[৬] সেখানে তিনি বলেন, আফগান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। তালেবানের কিছু সদস্য তার কথা নোট করছিলেন। তিনি বলেন, সরকারের প্রতিনিধি দলে নারী রয়েছে। তালেবান ইচ্ছা করলে নারী প্রতিনিধি আনতে পারে। সে সময় তালেবান নেতারা হাসেন।
[৭] ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে তালেবান নারীদের শিক্ষা ও চাকরি নিষিদ্ধ করে। ইসলামি আইন পাথর ছুঁড়ে হত্যা এবং চাবুক পেটানোও চালু করে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :